জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন পথে টেনে নেওয়ার জন্য একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষকদের এক সমাবেশে এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ আসন্ন নির্বাচনে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নিতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। আপনারা সবাই দৃষ্টি রাখুন যাতে নির্বাচন ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতে না পারে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমাদের নেত্রী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সেই সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই স্বপ্নের বাংলাদেশই আমাদের অঙ্গীকার এবং আমাদের পথ একটাই—বাংলাদেশ।’’ এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট, জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে। তারা বিভিন্ন দাবিও তুলে ধরা হয়, যেমন- বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা, অবসর বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ, নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের এমপিও প্রদান এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ। শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে বিএনপির ৩১ দফার কর্মসূচির মিল রয়েছে বলে জানা গেছে। ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের মতো শিক্ষকরা ছাত্রদের নৈতিকতার সঙ্গে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা একজন আদর্শ নাগরিক হতে পারে। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার জন্য।’ সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, এবং সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার ও অন্যান্য। এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আফরোজা বেগম রিতাসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।