ইসরায়েলি military গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শহর দখল করার লক্ষ্য নিয়ে আবারও ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রায় ৮০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই খবর বুধবার ইসরায়েলি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের অভিযোগ, এক মাসের মধ্যে মোতায়েনের পরিকল্পনা থাকলেও, এখন থেকেই অভিযানের জন্য প্রস্তুতিপর্বে অগ্রাধিকার দিয়ে সেনাদের ডাকা হচ্ছে যাতে
ইসরায়েলি military গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শহর দখল করার লক্ষ্য নিয়ে আবারও ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রায় ৮০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই খবর বুধবার ইসরায়েলি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারের অভিযোগ, এক মাসের মধ্যে মোতায়েনের পরিকল্পনা থাকলেও, এখন থেকেই অভিযানের জন্য প্রস্তুতিপর্বে অগ্রাধিকার দিয়ে সেনাদের ডাকা হচ্ছে যাতে করে সময়মতো প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। এর ফলে, অব্যাহত সংঘর্ষের ষোড়শ মাসে পৌঁছানোর সাথে সাথে পরিস্থিতি নতুন মাত্রা নিতে পারে।
বর্তমানে, প্রায় এক বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬২ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। গাজা উপত্যকায় মারাত্মক বিধ্বংসী হামলা চালানো হয়েছে, এবং খাদ্যদ্রব্য ও জলোচ্ছ্বাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই যুদ্ধ সৈন্যদের মনোভাব ও মনোবল কমে আসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবার রিজার্ভ সেনাদের সেনার সাড়া কম থাকতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছে তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এই পরিকল্পনা আগামী বছরের শুরু পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে।
প্রতি মঙ্গলবার, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, তিনি সেনাপ্রধান ইয়াল জামি ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন সামরিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। সরকারের পরিকল্পনানুযায়ী, নিয়মিত সেনা ব্রিগেডগুলো গাজা শহরকে ঘিরে ফেলবে এবং প্রায় ১০ লাখ গাজাপ্রবাসীকে শহর ত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
এমনকি, এর আগের বহু দফায় দ্রুত অভিযান চালানো হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ পালাতে না পেরে প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে, কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের মুখপাত্র মজেদ আল-আনসারির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন, সংগঠন হামাস নতুন এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তবে, ইসরায়েল বলছে, তারা এখনও এই বিষয়ে বিস্তারিত অধ্যয়ন করছে।
অভিযোগ রয়েছে, ইসরায়েলের দেরি করার মূল উদ্দেশ্য প্রকৃত লক্ষ্য আড়াল করতেই এই বিলম্ব। হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাইম অভিযোগ করেন, যখন হামাস জাতীয় ঐক্য ও সমর্থনের মাধ্যমে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে, তখনও ইসরায়েল দেরি করে যাচ্ছে। এতে বোঝা যায়, নেতানিয়াহু দীর্ঘায়িত করতে চান এই যুদ্ধ; তিনি গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের পরিকল্পনা আঁটছেন।