জাতীয় ফুটবলে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

জাতীয় ফুটবলে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বের খেলা। সব খেলা সেখানে হলেও সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ঢাকায় কমলাপুর স্টেডিয়ামে হলো। বঞ্চিত হয়েছে মাদারীপুরের ফুটবল দর্শক। বাফুফে জানিয়েছে, সেখানে টানা খেলা হয়েছিল। মাঠ ভালো ছিল না। ভবিষ্যতে আরও খেলা দেওয়া হবে। মাদারীপুর চাইলে আন্তর্জাতিক ম্যাচও দেওয়া হতে পারে বলে জানালেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম

মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বের খেলা। সব খেলা সেখানে হলেও সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ঢাকায় কমলাপুর স্টেডিয়ামে হলো। বঞ্চিত হয়েছে মাদারীপুরের ফুটবল দর্শক। বাফুফে জানিয়েছে, সেখানে টানা খেলা হয়েছিল। মাঠ ভালো ছিল না। ভবিষ্যতে আরও খেলা দেওয়া হবে। মাদারীপুর চাইলে আন্তর্জাতিক ম্যাচও দেওয়া হতে পারে বলে জানালেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে দর্শক ছিল না। সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। তারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাঠ ছেড়েছেন।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেনাবাহিনী। গতকাল বিকালে কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে সেনাবাহিনী ৪-২ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে। ফাইনালের বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীর ফুটবলার নতুন জার্সি গায়ে তুললেন। পিঠে লেখা চ্যাম্পিয়ন। আলমগীর হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, মাহবুব আলম, সোহেল রানা, অনিক, শাহিন (অধিনায়ক), আল ইমরান, ইমতিয়াজ, রঞ্জু সিকদার, মোরসালিন, মামুন মোল্লা, সোহাগদের আত্মবিশ্বাস ছিল চ্যাম্পিয়ন হবেন।

সেটাই তারা মাঠে প্রমাণ করেছেন। মাদারীপুরে চূড়ান্ত পর্বের খেলায় দুই দল খেলেছে একই গ্রুপে। সেখানেও সেনাবাহিনী ৪-০ গোলে জিতেছিল। এবার ফাইনালেও আটকানোর সুযোগ নিতে পারেনি চট্টগ্রামের দল। এই দলের কোচ তৌহিদুল আলম সিদ্দিকী রাকঢাক না করে বলছিলেন, তার খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত। তৌহিদুল আলম সিদ্দিকী বললেন, ‘লিগে ২২টা ম্যাচ খেলেছে এই টার্ফে। এখান থেকে ছয় ম্যাচ খেললাম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে। রিকভারিটা হয়নি।’ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ফর্টিস ফুটবল দলের ১১ জন খেলোয়াড় চট্টগ্রামের জার্সি গায়ে খেলেছেন। কোচ বললেন, ‘ওরা ফর্টিসের হলেও মূলত চট্টগ্রামেরই ছেলে। ছয়টা মাস লিগ খেলেছে। তাছাড়া ফিটনেসটা কম। আমরা আসলে শক্তিতে পারছিলাম না।’
ফাইনালে চট্টগ্রাম হেরে গেলেও এবার একটু প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সেনাবাহিনীর ইমতিয়াজ, আল ইমরান, সোহাগ, মামুন মোল্লা এবং চট্টগ্রামের বোরহান ও আব্দুল্লাহ ওমর গোল করেন। প্রথমার্ধে ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল সেনাবাহিনী। দ্বিতীয়ার্ধে সেনাবাহিনীর মাহবুব আলম লাল কার্ড দেখেন।
চ্যাম্পিয়ন সেনাবাহিনীর ১১ ফুটবলার চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের বিভিন্ন দলের জার্সি গায়ে খেলেনে। ট্রফি জয়ের পেছনে কঠোর পরিশ্রমের কথা বললেন সেনাবাহিনীর অধিনায়ক শাহিন। ফাইনাল শেষে ট্রফি গ্রহণের অপেক্ষায় থাকা খেলোয়াড়েরা হাসিমুখে ছবি তুলছিলেন। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন সেনাবাহিনীর ইমতিয়াজ। তিনি ৬ গোল করেছেন। একই সঙ্গে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ইমতিয়াজ। সেরা গোলকিপার হয়েছেন রানার্সআপ চট্টগ্রাম জেলার অধিনায়ক উত্তম বড়ুয়া।
Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos