প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানমঞ্চে দাঁড়িয়ে জানালেন, আগামীকাল বার্তালাপে অংশ নিতে পারেননি তিনি। কারণ, তখন দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের বৈঠক চলছিল। এই বৈঠকে ভাষ্যকারভাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের বর্ষীয়ান ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, যিনি ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জের জন্য খেলার জন্য ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে অতিথি হিসেবে ছিলেন। বৈঠকের শেষে মুখোমুখি হন তিনি সাংবাদিকদের। সেখানে তখনও সেই বৈঠক
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানমঞ্চে দাঁড়িয়ে জানালেন, আগামীকাল বার্তালাপে অংশ নিতে পারেননি তিনি। কারণ, তখন দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের বৈঠক চলছিল। এই বৈঠকে ভাষ্যকারভাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের বর্ষীয়ান ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, যিনি ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জের জন্য খেলার জন্য ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে অতিথি হিসেবে ছিলেন। বৈঠকের শেষে মুখোমুখি হন তিনি সাংবাদিকদের। সেখানে তখনও সেই বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিষয়টি হলো, রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ নামে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকটি গতকাল হয়।
প্রথমে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, যিনি প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলা আলোচনার পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন। এ সময় বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, ক্রিকেটাররা তাদের সমস্যাগুলো মুক্তভাবে ব্যক্ত করেছেন।
তবে চমকপ্রদ বিষয় হলো, কেউই এই বৈঠকের সাফল্য বা ফলাফলের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি। জনসংযোগের সময় কেবল মুশফিকই এই উদ্যোগকে ‘ভালো প্রয়াস’ হিসেবে অভিহিত করেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ‘বাস্তবায়ন যতদিন না হবে, এই ধরনের বৈঠকগুলো ফলপ্রসূ হবে না। আমরা তো ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারব যেখানে তারা নিয়মিতভাবে খেলতে পারবে, মাঠের ব্যবস্থা করবে, অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে।’
এ ছাড়াও, মুশফিক বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক ক্রিকেটের অন্যতম বড় পার্থক্যর বিষয় তুলে ধরে বলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেট যেমনটি বর্তমানে এগিয়ে গেছে, বাংলাদেশ এখনও অনেক দিন পেছিয়ে রয়েছে। যদি আমরা সেই সাপোর্ট দিতে পারি, তাহলে আমাদের ক্রিকেট আরও উন্নতি করবে।’
বৈঠকের সূত্র জানিয়েছে, ক্রিকেটাররা মূলত ঘরোয়া ক্রিকেটের সুযোগ–সুবিধা উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে উইকেটের সমস্যার বিষয়টি তারা আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা শুরু হবে, এরপরই চারদিনের জাতীয় লিগের আসর বসবে।
প্রশ্ন করা হয়, মুশফিক কি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন? তিনি জবাব দেন, ‘যদি আমার কোনও দল খেলতে দেয়, তাহলে আমি জাতীয় লিগে অংশগ্রহণে আগ্রহী। এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছি, দেখা যাক।’