আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডকে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার অবদান বিশাল। ফাইনালে তার ম্যাচজয়ী ইনিংস সমর্থকদের মনে এখনো শিহরণ জাগায়। কিছুদিন আগে টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে নতুন ইংল্যান্ডের বার্তা দিয়েছেন। ক্যারিয়ারের এমন সোনালী সময়ে এসে হঠাৎ করেই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন এই
আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডকে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার অবদান বিশাল। ফাইনালে তার ম্যাচজয়ী ইনিংস সমর্থকদের মনে এখনো শিহরণ জাগায়। কিছুদিন আগে টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে নতুন ইংল্যান্ডের বার্তা দিয়েছেন। ক্যারিয়ারের এমন সোনালী সময়ে এসে হঠাৎ করেই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।
সোমবার (১৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে নিজের অবসরের ঘোষণা দেন বেন স্টোকস। সেখানে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ডারহামে ইংল্যান্ডের হয়ে শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি খেলব। এই ফরম্যাট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। ইংল্যান্ডের সতীর্থদের সঙ্গে খেলার প্রতিটি মিনিট আমি উপভোগ করি।’
সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হলেও এটা মেনে নেওয়া কঠিন ছিল না যে, এই ফরম্যাটে আমি এখন শতভাগ দিতে পারছি না। ইংল্যান্ডের জার্সি কোনো ব্যক্তি থেকে বড় না। তিনটি ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া এখন আমার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেবল আমার শরীর সায় দিচ্ছে না তা নয়, বরং টাইট সিডিউল এবং আমার কাছ থেকে যা আশা করা হচ্ছে সেটাও বড় কারণ। তাছাড়া আমার মনে হয়েছে, আমি অন্য একজনের জায়গা দখল করে আছি, যে কিনা জস বাটলার ও তার দলকে আরও ভালো সার্ভিস দিতে পারবে। সময় এসেছে অন্য কারো একজন ক্রিকেটারের নিজেকে উন্নীত করার এবং গত ১১ বছর ধরে আমি যেসব স্মৃতি তৈরি সেগুলো তৈরির।’
‘আমার যা আছে আমি সব টেস্ট ক্রিকেটে দেব। এবং এই সিদ্ধান্তের কারণে এখন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কমিটমেন্ট সম্পূর্ণ পূর্ণ করতে পারবো। জস বাটলার, ম্যাথু মট ও অন্যান্য খেলোয়াড়দের তাদের সফলতার জন্য শুভ কামনা জানাই। গত সাত বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা দারুণ একটি দল তৈরি করেছি এবং ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল।’