আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়ে দেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিনা বাধা, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আবারও নিজের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলছেন, স্বৈরাচারী শাসনামলে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন, এই কারণেই এখন সাধারণ মানুষ উৎসাহ ও অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছেন
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়ে দেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিনা বাধা, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আবারও নিজের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলছেন, স্বৈরাচারী শাসনামলে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন, এই কারণেই এখন সাধারণ মানুষ উৎসাহ ও অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছেন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সাথে এক টেলিফোন আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রায় অর্ধ ঘণ্টা ধরে চলা এই গুরুত্বপূর্ণ আলাপচারিতায় দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, শুল্কসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, গণতান্ত্রিক রূপান্তর, তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক অন্যান্য ইস্যু বিষয়েও বিস্তারিত মতবিনিময় হয়। সার্জিও গোর বিশেষভাবে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ২০ শতাংশে নামানোর জন্য প্রশংসা করেন, যা দেশের বাণিজ্য উন্নয়নে বড় এক মাইলফলক। একই সঙ্গে, তিনি শহীদ ওসমান হাদির জানাজার ব্যাপক মানুষের উপস্থিতির বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন দূতকে জানান যে, স্বৈরাচারী শাসনের সমর্থকেরা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নষ্ট করতে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে এবং তাদের পলাতক নেতা বিদেশ থেকে সহিংসতা উসকে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, সরকার যেকোনো ধরনের নাশকতা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং নির্বাচনী পরিবেশের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কর্মতৎপর। তিনি বলেন, নির্বাচনের আর কেবলমাত্র ৫০ দিন বাকি, এবং এই সময়ের মধ্যে সরকার এক অবাধ, সুষ্ঠু ও স্মরণীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য অবিরত কাজ করে যাচ্ছে।
আলাপচারিতায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শক্তিশালী এক গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তুলতে দলবদ্ধ। দেশের বর্তমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় মার্কিন দূতের এই যোগাযোগ ও সহযোগিতা একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।











