রাবি ছাত্রদলের নিন্দা প্রকাশ সালাহউদ্দিন আম্মারের ‘সন্ত্রাসী’ আচরণের

রাবি ছাত্রদলের নিন্দা প্রকাশ সালাহউদ্দিন আম্মারের ‘সন্ত্রাসী’ আচরণের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও হুমকিমূলক বক্তব্যকে ভয়ংকর ‘সন্ত্রাসী’ কার্যকলাপ হিসেবে মন্তব্য করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সংগঠনটি অভিযোগ করে, আম্মারের এই অশালীন এবং মারমুখী আচরণ কেবল অছাত্রসুলভ নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শান্তিপূর্ণ শিক্ষা পরিবেশ বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। গত রোববার রাতে ছাত্রদল ঢাকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও হুমকিমূলক বক্তব্যকে ভয়ংকর ‘সন্ত্রাসী’ কার্যকলাপ হিসেবে মন্তব্য করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সংগঠনটি অভিযোগ করে, আম্মারের এই অশালীন এবং মারমুখী আচরণ কেবল অছাত্রসুলভ নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শান্তিপূর্ণ শিক্ষা পরিবেশ বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। গত রোববার রাতে ছাত্রদল ঢাকা থেকে স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে রাকসু সাধারণ সম্পাদকের কর্মকাণ্ডকে ‘মব-সন্ত্রাস’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে ছাত্রদল নেতারা উল্লেখ করেন যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগের জন্য উসকানিমূলক বার্তা ও হুঁশিয়ারি প্রদান, সালাহউদ্দিন আম্মারের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় উচ্চবাচ্য ও হুমকি অগ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে শিক্ষকদের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখার হুমকি এবং ‘তালা ঝুলানোর’ সংস্কৃতি ফ্যাসিবাদী মানসিকতার প্রকাশ বলে ছাত্রদলের নেতারা মনে করেন। তারা আরও জানান, কোনও ধরনের প্রমাণ বা তথ্য ছাড়া কাউকে ‘ট্যাগ’ করে হয়রানি করা বা অরাজকতা সৃষ্টি করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। তবে শিক্ষকদের অপমান ও লাঞ্ছনা করলে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রদল সেই অপতৎপরতা কঠোরভাবে দমন করবে। অন্যদিকে, সালাহউদ্দিন আম্মার রবিবার ক্যাম্পাসে ছয়টি বিভাগের ডিনদের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তিনি গণমাধ্যমের সামনে ডিনদের ফোন করে পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন এবং তাঁদের অনুপস্থিতিতে দপ্তরে দাখিল করেন বিজ্‌নি। এমনকি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বিভাগেও এসে তাঁদের খোঁজার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে, ছাত্রদলের কর্মীরা ডিনস কমপ্লেক্স ও উপাচার্যসহ অন্যান্য প্রশাসনিক ভবনের সব কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে প্রশাসনের আশ্বাসে তা খুলে নেওয়া হয়। ছাত্রদলের নেতারা মনে করেন, এই পরিস্থিতি জ্ঞানচর্চার পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি। তারা ‘সমন্বয়ক’ নামে এক ছাত্রের অপতৎপরতা বন্ধ করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos