বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ওপর হামলা: প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার আক্রান্ত

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ওপর হামলা: প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার আক্রান্ত

সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্পাদক পরিষদ এবং নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যৌথভাবে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এই সভার শিরোনাম ছিল ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’, যেখানে দেশের গণমাধ্যমের ওপর হামলার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি বলেন,

সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্পাদক পরিষদ এবং নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যৌথভাবে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এই সভার শিরোনাম ছিল ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’, যেখানে দেশের গণমাধ্যমের ওপর হামলার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এর ওপর হামলা কেবল দুটি সংবাদপত্রের ওপরে আঘাত নয়, এটি দেশের সামগ্রিক গণতন্ত্রের উপরে বড় এক আঘাত। তিনি এই ঘটনাকে তার জীবনে দেখছেন এমন এক বাংলাদেশ যা তার স্বপ্নের পরিপন্থী। ফখরুল আহ্বান জানান, এখন কোনো রাজনৈতিক বিভাজনের সময় নেই। বরং সমস্ত গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের উচিত এক হয়ে এই অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানো।

সভায় এনসিপির সভাপতি নাহিদ ইসলাম বলেন, ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে গণসহিংসতা বা মব ভায়োলেন্স হয়েছে, এর পেছনে সরকারের কোনো অংশে রাজনৈতিক সমর্থন থাকতে পারে। তিনি মনে করেন, যদি তা না হতো তাহলে এত বড় সহিংসতা ঘটতে পারত না। অন্যদিকে, নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, প্রতিটি সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব নীতিসহ মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। তবে কোনওভাবেই প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ বা হামলা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ নয়।

ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম হামলার রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, ওই সময় ভবনের ভিতরে প্রায় ২৬ থেকে ২৭ জন কর্মী আটকা পড়েছিলেন এবং সন্ত্রাসীরা ফায়ার সার্ভিসকে ভিতরে প্রবেশে বাধা দেয়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, হামলার মূল লক্ষ্য ছিল সাংবাদিক হত্যার উদ্দেশ্য। বর্তমানে তাদের পরিবার ও সাংবাদিকদের জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে বলেও সভায় উল্লেখ করেন।

প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা একযোগে এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে এই অরাজকতা দমন করার জন্য একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বক্তারা উল্লেখ করেন, এই সহিংস সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে এবং অবিলম্বে এর অবসান ঘটাতে হবে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos