আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ (১৮ ডিসেম্বর) অভিযোগ গঠন করে শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার ভিত্তিতে আরও জানানো হয়, অভিযোগের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের নেতৃত্বে থাকা বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার এই আদেশ দেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ (১৮ ডিসেম্বর) অভিযোগ গঠন করে শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার ভিত্তিতে আরও জানানো হয়, অভিযোগের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের নেতৃত্বে থাকা বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার এই আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, এই মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য প্রসিকিউশন পক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম আবেদন করেন, যেখানে তিনি পাঁচটি অভিযোগের পক্ষে দাবি জানান। অপর দিকে, মামলার কিছু আসামি—জেনে রাখা দরকার, তারা হলেন গ্রেপ্তার তিন সেনা কর্মকর্তা ও কয়েকজন পলাতক—অপরাধে নৈরাজ্যপূর্ণ অংশ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে নির্দোষ বলে দাবি করেন তাদের আইনজীবীরা।
আসামিদের মধ্যে দেখা গেছে, যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা হলেন—প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
অপরদিকে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ পলাতক থাকা আরও পাঁচজন—যেমন: ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, অন্য এক অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং হামিদুল হক—এরা সবাই বিভিন্ন সময় এই মামলার পলাতক আসামি।
গত ৮ অক্টোবর, এই পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। তার পর দিন, ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী একটি সংবাদ সম্মেলন করে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। সেখানে জানানো হয়, মোট ৩০ জনের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআর থেকে গিয়েছেন এবং বর্তমানে ১৫ জন সক্রিয় সেনা কর্মকর্তা এই মামলার পক্ষে প্রভাবশালী।
এছাড়া, ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই কারাগারে গ্রেপ্তার সেনা কর্মকর্তাদের রাখা হয়, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই অপরাধের তদন্তের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।











