যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিরিয়ার উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীরূপে প্রত্যাহার

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিরিয়ার উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীরূপে প্রত্যাহার

দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে সিরিয়ার উপর আঘাত হেনে আসা সব ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অবশেষে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি মূলত সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সময়কাল উত্তীর্ণ হয়েছিল, যখন দেশটি গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মার্কিন উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং সিরিয়ার পুনর্গঠনের

দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে সিরিয়ার উপর আঘাত হেনে আসা সব ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অবশেষে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি মূলত সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সময়কাল উত্তীর্ণ হয়েছিল, যখন দেশটি গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মার্কিন উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং সিরিয়ার পুনর্গঠনের পথ সহজ করা। এই জন্যই কংগ্রেস এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

বাশার আল আসাদ দীর্ঘ ২৪ বছর দেশের নেতৃত্বে থাকলেও, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি সিরিয়ার পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতা হারান। তার সামরিক অপশনের মুখে দেশের অভ্যন্তরীন পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে, এবং শেষ পর্যন্ত তিনি তার পরিবারের সাথে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। এরপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদ আল শারা।

শাসনামলে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল, যার মধ্যে ছিল জ্বালানি এবং বিদেশি বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু ক্ষমতা পরিবর্তনের পর, সৌদি আরব ও তুরস্কের অনুরোধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন সরকার প্রাথমিকভাবে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি স্থগিত করে। তবে নতুন প্রশাসন পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি করে আসছিল।

আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিবেচনায়, বুধবার মার্কিন সিনেটে একটি বিল উত্থাপন করা হয়, যা ৭৭-২০ ভোটে অনুমোদিত হয়। এই বিলটি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং প্রেসিডেন্টের কাছেও পাস হয়। এর ফলে সিরিয়ার সাধারণ জনগণের দীর্ঘদিনের দুর্দশার অবসান ঘটবে, দেশটির পুনর্গঠন ও উন্নয়নের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে, সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি সিরিয়ার জনগণের পাশে থাকা এক মূলমানবিক পদক্ষেপ। এটাই দেশের জন্য এক নতুন প্রারম্ভের সূচনা, যেখানে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসবে বলে আশা করছেন সকল।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos