মিয়ানমারে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধী দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সরকার বেশ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। দেশটির সামরিক জান্তা সরকার নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দুশো এর বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়ে তিন ধাপে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তবে সমালোচকরা মনে করছেন, এটিই ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের
মিয়ানমারে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধী দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সরকার বেশ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। দেশটির সামরিক জান্তা সরকার নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দুশো এর বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়ে তিন ধাপে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তবে সমালোচকরা মনে করছেন, এটিই ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের জন্য সরকারের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। সামরিক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল তুন তুন নাউং জানিয়েছেন, নির্বাচন বন্ধ বা অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে মোট ১৪০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে ২২৯ জন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আন্দোলনকারী, শিল্পী, শিশু এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরাও রয়েছেন।
নতুন নির্বাচনী আইনে ভোট বর্জন বা নির্বাচন ব্যাহত করতে হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বার্তা দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনী বিরোধী বক্তব্য, উসকানি বা প্রচারপত্র বিলি করলে ৩ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডেরও বিধান রয়েছে। ইতোমধ্যে মান্দালয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে, কিছু ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের সাজা হয় ৪৯ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাও পাকিস্তের অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনাকে উপেক্ষা করে জান্তা মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন সংবাদ মাধ্যমকে বলার জন্য খোলাখুলিভাবে বলেছেন, এই নির্বাচন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের জন্য বিদেশীদের সন্তুষ্টি বা সমর্থন গুরুত্বহীন, কারণ তিনি মনে করেন, এই মূলত একটি অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া। অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হয়েছে, ফলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। সুচির বিরুদ্ধে ২৭ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায়, পরবর্তী ভোট দেওয়ার জন্য ২৮ ডিসেম্বরের পরে আরও দুটি ধাপে—১১ ও ২৫ জানুয়ারি—অন্তত আরও দুইটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।











