অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি: সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি জরুরি

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি: সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি জরুরি

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তি দাবী করেছে। তারা জানিয়েছে, তার গ্রেপ্তারকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক একটি প্রবণতা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক রেহাব মাহমুদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার এক ধরনের ভিন্নমত দমনের চলমান প্রচেষ্টার অংশ। তিনি অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তি দাবী করেছে। তারা জানিয়েছে, তার গ্রেপ্তারকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক একটি প্রবণতা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক রেহাব মাহমুদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার এক ধরনের ভিন্নমত দমনের চলমান প্রচেষ্টার অংশ। তিনি অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগকে সমর্থনকারী সন্দেহে এখন অনেককে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার বন্ধ করতে এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) মান্য করার জন্য। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেছেন, ২০২৬ সালের ঘোষিত নির্বাচনের আগে ভীতিমুক্ত পরিবেশ তৈরি ও বাকস্বাধীনতা এবং গণসমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ধানমন্ডি থেকে আনিস আলমগীরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরের দিন, উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, যার ভিত্তিতে আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি সব সময় ক্ষমতাসীনদের প্রশ্নে থাকে। দুই দশক ধরে আমি এই কাজ করে আসছি। কারো কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’

উল্লেখ্য, এই মামলায় শুধু আনিস আলমগীরই নয়, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, মডেল মারিয়া কিসপট্টা ও উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজকেও আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও টকশোতে আলোচনায় অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের পক্ষে রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা মূলত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের উসকানি দিচ্ছে এবং সরকারের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos