নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ইসলামী দলের সংসদ সদস্য প্রার্থীরা একত্রিত হয়ে এক মনোসংগঠিত সভায় নিজ নিজ অবস্থান ঘোষণা করেছেন। এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে, যেখানে আটটি ইসলামী দল মিলিতভাবে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে, সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে এসব প্রার্থীরা একত্র হয়েছিলেন। এই যৌথ সভায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা নির্বাচন শেষে একসঙ্গে থাকবেন এবং নির্বাচনী শক্তি বাড়ানোর জন্য আলোচনা করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপি প্রার্থী ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, খেলাফত আন্দোলনের আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা শাহজাহান শিবলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. ফারুক আহমেদ মুন্সী, খেলাফত মজলিসের মুফতি সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয় বিভিন্ন দল ও সাধারণ মানুষ।

বক্তারা বলেছেন, এই ঐক্যজনিত প্রক্রিয়াটি দেশের মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন। তারা আরও জানান, ইসলামি মূল্যবোধে ভিত্তি করে একটি ন্যায়সঙ্গত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ঐক্য অপরিহার্য।

প্রার্থীরা অকপটে বলছেন, মহান আল্লাহ আমাদের এই ঐক্যকে কবুল করুন। এবার শতভাগ নিশ্চিত করতে চান যে, ইসলামপন্থী দলগুলোই এবার সংসদে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তারা বলেন, প্রার্থী যাই হোক, মূল লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সোনারগাঁওবাসীর ভালোবাসা আমাদের পক্ষে শক্তি।

সভাস্থলে উপস্থিত অনেকেই মন্তব্য করেছেন, বহুদিন পর এভাবে ইসলামি দলগুলোর ঐক্য দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা নির্বাচনী মাঠে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তবে অনেকে মনে করেন, ভোটের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাহলে হবে প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনটি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই অঞ্চলে শিল্পাঞ্চল, পর্যটন কেন্দ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কারণে এটি একটা শক্তিশালী রাজনৈতিক কেন্দ্র। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এই এলাকায় সক্রিয় থাকাটা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। এই নতুন ঐক্যজোটের উপস্থিতি স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

সভা শেষে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং শিগগিরই বড় আকারের জনসভা করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।