সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি

সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি

সেনাবাহিনী সত্যিই পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, আদিবাসী এবং পার্বত্য এলাকায় শান্তি নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীই প্রধান এই কাজে সফল হতে পারে। পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকায়, তারা এর স্থিতিশীলতা এবং শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম বলে তিনি সাত্ত্বিকভাবে বিশ্বাস করেন। ২

সেনাবাহিনী সত্যিই পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, আদিবাসী এবং পার্বত্য এলাকায় শান্তি নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীই প্রধান এই কাজে সফল হতে পারে। পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকায়, তারা এর স্থিতিশীলতা এবং শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম বলে তিনি সাত্ত্বিকভাবে বিশ্বাস করেন।

২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ধানমণ্ডির মাইডাস ভবনে টিআইবি-এর নিজ কার্যালয়ে ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সেনাবাহিনীকে কেন আরও সক্রিয়ভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে আন্তরিক হতে হবে, তা তাদের নিজেদের উদ্যোগে এবং অঙ্গীকারের মাধ্যমে সম্ভব।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ভারতসহ বিশ্বের ১৬৯টি দেশে শান্তি প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী গৌরবের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে থাকেন। বর্তমানে তারা অন্তত ১০টি দেশে শান্তি রক্ষা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং আন্তর্জাতিক মহলেও স্বীকৃতি পেয়েছে।

তিনি প্রশ্ন উঠান, কেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী সক্ষম নয়—এমন ভাবনা ভুল। এই প্রশ্নের জবাব তারা নিজেই দিতে হবে। নিজেদের জন্য, দেশের জন্য ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আরও উচ্চ পর্যায়ে মর্যাদা অর্জনের সুযোগ এটি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বিশ্বাস করেন, তাদের সরকারের সহায়তা নয় বরং নিজেদের উদ্যোগে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তিনি বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির সব ধারা বাস্তবায়ন করতে সেনাবাহিনী যদি সদিচ্ছা দেখায়, তাহলে সম্ভব। আবার উল্লেখ করেন, ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীন সরকারও পার্বত্য শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

তিনি শেষ পর্যায়ে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সেই সক্ষমতা, জ্ঞান ও উদ্যোগ রয়েছে, যা পার্বত্য অঞ্চলে সত্যিকার অর্থে শান্তি দেশে আনতে পারে। তারা আন্তঃরাষ্ট্রীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে এবং দেশের সম্মান বাড়াবে।

সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষণা ফেলো রাজিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা ও নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের তৌহিদুল ইসলাম।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos