প্রতিবেশী দেশের জন্য ট্রানজিট গেটওয়ে হিসেবে মোংলা বন্দরের রূপান্তর

প্রতিবেশী দেশের জন্য ট্রানজিট গেটওয়ে হিসেবে মোংলা বন্দরের রূপান্তর

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা এখনNot only দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বরং এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ট্রানজিট কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে। দেশের বিভিন্ন বিভাগ—রাজশাহী, রংপুর ও বরিশালের সঙ্গে সড়ক, নদী ও রেলপথে উন্নত যোগাযোগের মাধ্যমে এই বন্দরটি আঞ্চলিক বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। শিগগিরই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বন্দরের আধুনিক অভ্যর্থনা সুবিধা (পিআরএফ)

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা এখনNot only দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বরং এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ট্রানজিট কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে। দেশের বিভিন্ন বিভাগ—রাজশাহী, রংপুর ও বরিশালের সঙ্গে সড়ক, নদী ও রেলপথে উন্নত যোগাযোগের মাধ্যমে এই বন্দরটি আঞ্চলিক বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।

শিগগিরই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বন্দরের আধুনিক অভ্যর্থনা সুবিধা (পিআরএফ) প্রকল্প, যা জাহাজ থেকে সেলুলার তেল সংগ্রহ ও সরবরাহের সক্ষমতা বাড়াবে, পাশাপাশি নদী ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়ক হবে বলে কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক জীবনরেখা হিসেবে মোংলা বন্দর খাদ্যশস্য, সিমেন্ট, সার, গাড়ি, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, জ্বালানি তেল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ ও এলপিজি আমদানির পাশাপাশি হিমায়িত মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, পাট এবং পাটজাত পণ্য, টাইলস, রেশম বস্ত্রসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যের প্রবাহে একটি অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সিনিয়র উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোংলা বন্দর তার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। বার্ষিক ৮ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন কার্গো উন্নীত করতে পারবে বলে আশা করা হয়, যেখানে বাস্তবে হ্যান্ডলিং হয়েছে ১০ দশমিক ৪১২ মিলিয়ন মেট্রিক টন, যা পুরোনো লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৭.২৫ শতাংশ বেশি। একইভাবে, কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার টিইইউ, কিন্তু সফলতার সাথে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ হাজার ৪৫৬ টিইইউ।

রাজস্ব আয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৩.৮৭ কোটি টাকা, তবে আয় হয়েছে ৩৪৩.৩০ কোটি টাকা। নিট মুনাফাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০৩.৪৯ শতাংশ বেশি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহের ফলে প্রতি ঘণ্টায় ২৪টিরও বেশি কনটেইনার পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে। নিয়মিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সমুদ্রপথে নাব্যতা নিশ্চিত হওয়ায় একই সময়ে, একাধিক জেটিতে বেশ কয়েকটি জাহাজ পরিচালনা করা যায়। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মোংলা বন্দরে ৩৫৬টি জাহাজ আসছে, ১৩ হাজার ৮৫৪ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, ৪ হাজার ১৩৯ পরিবহন চালানো হয়েছে এবং ৪ মিলিয়ন টনেরও বেশি পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে।

মাকরুজ্জামান আরও বলেছেন, মোংলা বন্দরের বিস্তৃত ট্রানজিট সম্ভাবনা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য বহন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অন্তর্র্বতী প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, বছরে ১৫০ মিলিয়ন টন কার্গো ও ৩৫০ থেকে ৪০০ লাখ টিইইউ কনটেইনারের হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে। এই উন্নয়ন শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট, স্টিভডরিং ও শ্রমিক শ্রেণির কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়াবে।

মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহীন রহমান জানিয়েছেন, পশুর চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে, সেখানে ১০০টিরও বেশি অতিরিক্ত জাহাজ চলাচল করতে পারবে, যার ড্রাফট থাকবে ৯.৫ থেকে ১০ মিটার। এছাড়া, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্যও সেন্টার পরিষেবার মাধ্যমে চাহিদা বাড়বে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মোংলা বন্দরকে বিশ্বের মানের আধুনিক বন্দরে পরিণত করতে নতুন নতুন প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos