আসন্ন বিপিএলে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে যুক্ত হয়েছে নোয়াখালী, যার নাম নির্ধারিত হয়েছে ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’। প্রথমবারের মতো বিপিএলে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে এই অঞ্চল, তাই স্থানীয় মানুষদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে ব্যাপক কৌতূহল তৈরী হয়েছে—নোয়াখালীর মালিক কে, ম্যানেজমেন্টে কারা থাকছে এবং নিলামের আগে দলে কে কাকে স্থান দিচ্ছেন—এসব প্রশ্ন এখন আলোচনায়।

গত বুধবার সন্ধ্যার পর সামাজিক মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, সেটা হলো—নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ হিসেবে থাকছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার বিশাল অভিজ্ঞতা ও সফলতার জন্য এই খবর বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসם। তিনি এর আগে ঢাকাকে বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন করান এবং বেশ কয়েকবার দলকে ফাইনালে উঠিয়েছেন।

সম্প্রতি প্রিমিয়ার লিগেও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবে তার নেতৃত্বে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গঠন করে সুপার লিগে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে দলটি ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে—যা প্রত্যাশার থেকে কিছুটা কম ছিল। গত বিপিএলেও ঢাকার কোচ ছিলেন সুজন, কিন্তু তার নেতৃত্বে দুর্বল দলের জন্য বেশ সুবিধা করতে পারেননি। ফলে এবারের নিয়মিত দায়িত্বে থাকবেন কারা তা নিয়ে বেশ জল্পনা চলছিল। সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়—তিনি এবার নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ হবেন। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা তখনো হয়নি।

বর্তমানে সুজন ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন, তবে ২৮ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিশ্চিত করেছেন—তিনি এবারের বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

সুজন বর্তমানে রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করছেন এবং সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সেখানেই সময় দেন। জাতীয় দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকায় অন্য কোনো দায়িত্ব থাকছে না তার। প্রধান কোচ হিসেবে কাজের জন্য তার হাতে যথেষ্ট সময় রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত ব্যস্ত নয় বলেই আমি নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রস্তাব গ্রহণে সুবিধা পেয়েছি। এখনো সব কিছু চূড়ান্ত করে নিয়েছি এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি—এবারের বিপিএলে নোয়াখালীর কোচ হিসেবে কাজ করবো।’

সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘নোয়াখালী দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সব আলোচনা শেষ হয়েছে। আমি চাই এই দায়িত্ব পালন করে দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। এই সুযোগে আমি নিজেকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করব।’