চলতি কর বছরে ২০ লক্ষের বেশি করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন

চলতি কর বছরে ২০ লক্ষের বেশি করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন

২০২৫-২৬ করুবর্ষের জন্য ই-রিটার্ন দাখিলের নতুন উদ্যোগে এই বছর ব্যাপক সাড়া পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছিলেন, যার পর থেকে দেশের বিশিষ্ট করদাতাগণ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এই সিস্টেম ব্যবহার করে আসছেন। এখন পর্যন্ত, সরকারি নিরীক্ষণে সম্মানিত করদাতাদের দেরিতে নয়, দ্রুত ও সহজভাবে ই-রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে

২০২৫-২৬ করুবর্ষের জন্য ই-রিটার্ন দাখিলের নতুন উদ্যোগে এই বছর ব্যাপক সাড়া পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছিলেন, যার পর থেকে দেশের বিশিষ্ট করদাতাগণ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এই সিস্টেম ব্যবহার করে আসছেন। এখন পর্যন্ত, সরকারি নিরীক্ষণে সম্মানিত করদাতাদের দেরিতে নয়, দ্রুত ও সহজভাবে ই-রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে দেশের রাজস্ব আয় বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক বিশেষ নির্দেশনায় জানিয়েছে, এই বছর ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী করদাতা, মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি, এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকগণের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে, অন্যান্য শ্রেণির করদাতারা ইচ্ছা করলে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল בעיות থাকলে করদাতা ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে আবেদন করে পেপার ফর্মে রিটার্ন দাখিলের অনুমতি নিতে পারেন। পাশাপাশি, করদাতা তাদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিগণও একই সুবিধা পাবেন। বিদেশে অবস্থানরত করদাতারা তাদের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য [email protected] এ পাঠিয়ে আবেদনের মাধ্যমে OTP ও রেজিস্ট্রেশন লিঙ্ক পান, যা দিয়ে তারা সহজেই ই-রিটার্নে নিবন্ধন ও জমা দিতে পারেন।

করদাতাদের সুবিধার্থে, কাগজপত্র আর কোনো上传 না করেই তাদের আয়, ব্যয়, সম্পদ, ও দায়-দায়িত্বের সঠিক তথ্য দিয়ে ই-রিটার্ন সাবমিট করা যায়। এরপর, মোবাইল ব্যাংকিং বা কার্ডের মাধ্যমে সহজে আয়কর পরিশোধের মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। উপরে উল্লেখিত চার্জে, তৈরি হয়ে যায় স্বয়ংক্রিয় অ্যানাউন্সমেন্ট স্লিপ ও করের স্বীকৃতিপত্র, যা ঘরে বসেই প্রিন্ট করা সম্ভব, ফলে দেশের বাইরে থাকাকালীনও করদাতারা এই সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন।

ই-রিটার্নের এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করতে এনবিআর গত বছরই মতামত ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে। করদাতা ছাড়াও, তাদের আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও চার্টার্ড সেক্রেটারিজের মতো পেশাদাররাও এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।

যেকোনো সমস্যা বা জিজ্ঞাসায় করদাতারা এনবিআর এর কল সেন্টার ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন, যেখানে দ্রুত টেলিফোনিক সহায়তা প্রদান হয়। এছাড়া, www.etaxnbr.gov.bd এর eTax সেবা অপশনে লিখित সহায়তাও পাওয়া যায়। সারাদেশের কর অফিসে বিশেষ হেল্প ডেক্স রয়েছে, যেখানে অফিস সময়ের মধ্যে সব ধরনের সমস্যা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। করদাতারা নিজ নিজ কর অঞ্চলে গিয়ে বা ফোনে মাধ্যমে সুবিধা নিতে পারেন।

এনবিআর সকল সম্মানিত ব্যক্তির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে ২০২৫-২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিলের জন্য অনুরোধ জানান। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের রাজস্ব সংগ্রহ আরও শক্তিশালী ও স্বচ্ছ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos