ফেনীতে অভিনব কায়দায় ফ্ল্যাট বন্ধক দিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ

ফেনীতে অভিনব কায়দায় ফ্ল্যাট বন্ধক দিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ

ফেনী শহরের শাহীন একাডেমির পাশে অবস্থিত র্যাব ক্যাম্পের পিছনের এলাকার হাশেম ম্যানশনের তিনতলা ভবনের ৬টি ফ্ল্যাট বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বন্ধক দিয়ে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ভবন মালিক আবুল হাসেমের স্ত্রী বিবি আয়েশা ও তার দুই ছেলে, আবু ছাইদ মুন্না ও মেহেদী হাছান। এ ঘটনা শুক্রবার বিকেলে শহরের গণমাধ্যম ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে

ফেনী শহরের শাহীন একাডেমির পাশে অবস্থিত র্যাব ক্যাম্পের পিছনের এলাকার হাশেম ম্যানশনের তিনতলা ভবনের ৬টি ফ্ল্যাট বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বন্ধক দিয়ে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ভবন মালিক আবুল হাসেমের স্ত্রী বিবি আয়েশা ও তার দুই ছেলে, আবু ছাইদ মুন্না ও মেহেদী হাছান। এ ঘটনা শুক্রবার বিকেলে শহরের গণমাধ্যম ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে মো. আলমগীর জানান, হাশেম ম্যানশনের মালিক ও তার পরিবারের সদস্যরা ধাপে ধাপে কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ৬টি ফ্ল্যাটের মালিকানার ধারণা দিয়ে তাদের বন্ধক রাখে, এবং তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভাড়া পরিশোধের মানা করেনি। এভাবে তারা ২৭ জনের কাছ থেকে মোট দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন, তারা এসব ফ্ল্যাটের মধ্যে ৬টি বন্ধক দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি বা বরাদ্দের মতো অসাধু কার্যক্রম চালিয়েছে।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, তারা তাদের টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ফল হয়নি। তারা বলেন, ২০ অক্টোবর তারা বুঝতে পেরেছেন এই প্রতারক চক্রটি এভাবে একাধিকবার প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তারা ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এবং র্যাবের সহযোগিতা চেয়েছে। এ পর্যন্ত ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এবং তাদের মধ্যে চারজনের ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী লিপি আক্তার বলেন, ‘‘আমরা আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত, অনেকেরই জীবনযাত্রা বন্ধ হয়ে গেছে। তারা আমাদের সবাইকে ঠগবাজি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমাদের পরিবারগুলো এখন বড় করে দুঃখে আছি।’’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানালে তার জন্য অর্থমূল্য সম্মানী দেওয়া হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে। অনুগ্রহ করে আমরা অসংখ্য ভুক্তভোগীর সহযোগিতা করুন যেন এই প্রতারকদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা যায়।’’’

অফিসিয়ালভাবে প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করা হলেও, বিবি আয়েশা এবং তার দুই ছেলেকে বলে পাওয়া যায়নি, কারণ তাদের ফোন নম্বর বন্ধ রয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া নিশ্চিত করার জন্য এ ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos