বিএনপির লক্ষ্য: গণতান্ত্রিক সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন

বিএনপির লক্ষ্য: গণতান্ত্রিক সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করছে। দলটি মনে করে, দেশের জনগণের স্বপ্ন ছিল গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, যা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে রফতানি হয়েছে। যদিও বর্তমানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের কারণে রাষ্ট্রের কাঠামো ভেঙে গেছে, সেই ক্ষত সারানোর জন্য এবং রাষ্ট্রের মালিকানাকে জনগণের হাতে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করছে। দলটি মনে করে, দেশের জনগণের স্বপ্ন ছিল গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, যা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে রফতানি হয়েছে। যদিও বর্তমানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের কারণে রাষ্ট্রের কাঠামো ভেঙে গেছে, সেই ক্ষত সারানোর জন্য এবং রাষ্ট্রের মালিকানাকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে আনতে বিএনপি কাজ করছে। এজন্য একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দরকার, যেখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। নির্বাচিত হলে বিশ্লেষণে জানা গেছে, বিএনপি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং শিক্ষিত বেকারদের জন্যএক বছরের ভাতা চালু করা হবে।

নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এইবার তরুণ ভোটারদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে এবং “তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক” এই স্লোগান তুলে প্রচারণা চালানো হবে। ফ্যামিলি কার্ড, কৃষকদের জন্য বীজ–সার ও চিকিৎসা কার্ড চালুর পরিকল্পনা সহ খাদ্য সহায়তা ও কৃষি উন্নয়নের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হবে। নারীর নিরাপত্তা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমঅধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা যেমন প্রধান বিষয়ে আলোচনা হবে, তেমনি নির্বাচনী ইশতেহারেও গুরুত্ব পাবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেল, দলটির শীর্ষ নেতারা ভোটার পরিবেশ বিশ্লেষণ ও নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে সাতটি মূল ইস্যু—জলবায়ু ও পরিবেশ, শিক্ষা ও দক্ষতা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারী ক্ষমতায়ন, ক্রীড়া ও ধর্ম বিষয়ক—কেন্দ্র করে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রতিশ্রুতি জানানো হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দ্রুত মাঠে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ক্ষমতায় গেলে দলটি বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে, যেমন: পরিবেশের সুরক্ষা, ৫০ লাখ ফ্যামিলি কার্ড চালু, পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি গাছ রোপণ ও দুর্নীতি দমন। স্বাস্থ্য খাতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা চালুর জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা মডেল অনুসরণ করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২০ হাজার কিলোমিটার নদী–খাল পুনরুদ্ধার, সেচ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও তিস্তা–গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের পরিকল্পনাও প্রচারনায় রাখা হবে।

অতিরিক্ত উদ্যোগ হিসেবে, ইমাম ও মুসুল্লিদের মাসিক ভাতা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা, শিক্ষাখাতে বড় ধরনের সংস্কার ও ক্ষুদ্রশিল্পের জন্য সরকারি সহায়তার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি, সরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলেও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।

বর্তমানে দলের শীর্ষ নেতারা নির্বাচনী এলাকায় বেশি সময় দিচ্ছেন, দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে তা কাটিয়ে উঠার জন্য পরিকল্পনা প্রয়োগ করছেন। ভোটের আগে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ, ব্যাকআপ প্রস্তুতি ও ৩১ দফা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও সংস্কার রূপরেখা প্রচারেও তারা বরাবর কাজ করছেন।

বিএনপির জনসংযোগে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে, মূলধারার গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় শ্রোতাদের মধ্যে প্রচারণা জোরদার করতে একটি সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। সাতটি উপজীব্য দল গঠন করে প্রতিটিতে আলাদা নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, যাতে নির্বাচনী জয়ের জন্য সজাগ ও সংগঠিত প্রচারণা চালানো যায়।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos