গাজায় নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন হামলার মধ্য দিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে

গাজায় নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন হামলার মধ্য দিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে

ইসরায়েল গাজা উপত্যকা ও দক্ষিণ লেবাননে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে এখনো বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, গাজায় প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারছে, যা যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য অপর্যাপ্ত। মানবিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ইসরায়েল এই ত্রাণ বিতরণে বাধা সৃষ্টি করছে। দক্ষিণ লেবাননের টুরা গ্রামে ইসরায়েলি বিমান

ইসরায়েল গাজা উপত্যকা ও দক্ষিণ লেবাননে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে এখনো বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, গাজায় প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারছে, যা যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য অপর্যাপ্ত। মানবিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ইসরায়েল এই ত্রাণ বিতরণে বাধা সৃষ্টি করছে। দক্ষিণ লেবাননের টুরা গ্রামে ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয় সেনা ও বাসিন্দাদের উদ্ধার অভিযান চালানোর মাধ্যমে উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হামলা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বড় ধরনের পরিচয় এবং তা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। আলজাজিরার খবর অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে, যেখানে গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন ও ‘বোর্ড অব পিস’ গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া সংঘর্ষে অন্তত ৬৮ হাজার ৮৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ ব্যক্তি নিহত ও প্রায় ২০০ জনকে আটক করা হয়েছিল। যুদ্ধবিরতির ফলে হামাস কিছু বিনিময় করে, বেশ কিছু ইসরায়েলি মুক্তি পেয়েছেন। গাজায় চলমান সংঘর্ষের কারণে গাজা অচলে পড়েছে খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকট। জাতিসংঘের মতে, প্রয়োজনের চেয়ে সরবরাহ খুবই কম, এবং দ্রুত খাদ্য ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে। জাতিসংঘের ধারণা অনুযায়ী, গত অক্টোবরের পর থেকে তারা ব্যাপক পরিমাণ সাহায্য পাঠিয়েছে, কিন্তু তার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ইসরায়েলের নির্মম হামলায় গাজার কয়েকশো মসজিদ ধ্বংস কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধের দুই বছর অতিক্রম করলেও গাজার মানুষ শোকার্ত, তবে আজকের জুমায় মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে আশীর্বাদ ও মুক্তির প্রার্থনা করেছেন। তুরস্ক ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যেখানে মূল অভিযুক্তরা হলেন নেতানিয়াহু ও তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এই সব ঘটনা যেমন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, তেমনি উত্তেজনা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো তীব্রতর হচ্ছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos