তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের ৯ম দিনের শুনানি চলমান

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের ৯ম দিনের শুনানি চলমান

নির্বাচকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর জন্য আপিলের টানা নবম দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির সমন্বিত আপিল বেঞ্চ এ শুনানি পরিচালনা করে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে, ২২ থেকে ২৯ অক্টোবর এবং ২৮ থেকে ৪

নির্বাচকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর জন্য আপিলের টানা নবম দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির সমন্বিত আপিল বেঞ্চ এ শুনানি পরিচালনা করে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে, ২২ থেকে ২৯ অক্টোবর এবং ২৮ থেকে ৪ নভেম্বর নির্বাচকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কয়েক দফা শুনানি হয়। এই প্রক্রিয়ায়, ২১ অক্টোবর প্রথমবারের মতো আপিলের শুনানি শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, এ রায় সংক্রান্ত আবেদনগুলো ২৭ আগস্ট দাখিল হয়। এর মধ্যে আদালতের বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিচার (রিভিউ) চান ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, পাশাপাশি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও আপিল করেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৯৬ সালে গৃহীত ত্রয়োদশ সংশোধনী। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম. সলিমউল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট এই রিট খারিজ করে ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতা ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়েরের পরে, ২০০৪ সালে বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেয়। এরপর প্রাথমিক আপিল বিভাগ এই রায় পুনর্বিবেচনার অনুমোদন দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।

২০১১ সালে, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে সংসদে পাস করা পঞ্চদশ সংশোধনী বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায় কার্যকর হয়। এরপরেই, ৩০ জুন ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপের জন্য আইন পাস হয় ও ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশ করে।

অন্যদিকে, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে, সংশ্লিষ্ট রায় পুনর্বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামে কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, তোফায়েল আহমেদ, এম. হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান রয়েছেন।

এছাড়াও, ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। গত বছর, ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নওগাঁর বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও এ ধরনের আবেদন করেন।

শুনানির এইক্রমে, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের যুক্তি-তর্ক ও আইনী ধারাবাহিকতা নিয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আদালত।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos