চাঁদপুরে পাসপোর্টের জন্য আসার সময় দু’জন রোহিঙ্গা নারী ভুয়া পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে ধরা পড়েছেন। তাদের কাছে এ ব্যাপারে জেল হাজত পাওয়া গেছে এবং পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সূত্র জানায়, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন কারার সময়, বেশ কিছু দিন ধরে আবেদনের নিরাপত্তা ও ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া
চাঁদপুরে পাসপোর্টের জন্য আসার সময় দু’জন রোহিঙ্গা নারী ভুয়া পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে ধরা পড়েছেন। তাদের কাছে এ ব্যাপারে জেল হাজত পাওয়া গেছে এবং পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সূত্র জানায়, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন কারার সময়, বেশ কিছু দিন ধরে আবেদনের নিরাপত্তা ও ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া কঠোর করা হয়েছে। বিশেষ করে, ভুয়া আইডি কার্ডের মাধ্যমে পাসপোর্টের জন্য চেষ্টার আরও কঠিনতর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে, গত ৪ নভেম্বর দুপুরে একদল রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্টের জন্য আসলে হাতেনাতে ধরা পড়েন।
আটক নারীরা কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পের ২ নম্বর দফতরের বাসিন্দা— সহিদুল আলমের মেয়ে সুরাইয়া (১৮) এবং সোনা আলীর মেয়ে জুহুরা বেগম (৩৫)। উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন তাদের আটক করে চাঁদপুর সদর থানায় নিয়ে যান। তিনি বলেন, তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও জানা যায় না ভাঙা ভাষায় তারা বোঝাপড়া করতে পারছেন। তবে যতটুকু জানা যায়, তারা দীর্ঘ দিনের দালাল সোহাগের মাধ্যমে চাঁদপুরে আসেন।
তাদের দাবি, তারা চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঠিকানায় ভুয়া আইডি ব্যবহার করে পাসপোর্ট করতে চেয়েছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, তাদের এই কৌশল মূলত দালাল সোহাগের মাধ্যমে পরিচালিত। মূলত, তাদের বলির হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য যোগাযোগ মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। তারা নিজেকে অচেনা বলে দাবি করেন।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই ধরনের ভুয়া আবেদনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করা বেশ কঠিন। তবে, তারা সাধারণত চেহারা, ভাষা ও অভ্যাসের ভিত্তিতে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের প্রশ্ন করে থাকেন। এই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের ধরা সম্ভব হয়।
উপপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ভুয়া এনআইডি ব্যবহারের কারণে সতর্কতা আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে, আতঙ্ক আর ফাঁকফোকর দিয়ে তারা পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারে— এই আশঙ্কা থাকায় আমরা সব সময় প্রস্তুত থাকছি।
অভিযানের সময়, তারা মনে করেন, কিছু ফাঁকফোকর থেকে রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট নিতে পারে বলে ধারণা। এই জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, আটক নারীজনের নিবন্ধিত বাসিন্দা হওয়ায় তাদের আজ ভোরে থানার ফোর্স নিয়ে ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পের প্রধান তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।











