হামাস আরও তিন মরদেহ ফেরত দিল ইসরাইলকে

হামাস আরও তিন মরদেহ ফেরত দিল ইসরাইলকে

হামাস আরও তিনজন ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। ইসরাইল গতকাল রোববার জানায় যে মার্কিন মধ্যস্থতায় চলমান যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসেবে গাজা থেকে তারা এই মরদেহ গ্রহণ করেছে। এই খবর নিশ্চিত করেছে এএফপি সংবাদ সংস্থা। দীর্ঘ দিন ধরে চলা অবিরাম সংঘর্ষের মধ্যেও ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় একটি নাজুক যুদ্ধবিরতি পরিচালিত হচ্ছে। এই বিরতির উদ্দেশ্য

হামাস আরও তিনজন ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। ইসরাইল গতকাল রোববার জানায় যে মার্কিন মধ্যস্থতায় চলমান যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসেবে গাজা থেকে তারা এই মরদেহ গ্রহণ করেছে। এই খবর নিশ্চিত করেছে এএফপি সংবাদ সংস্থা।

দীর্ঘ দিন ধরে চলা অবিরাম সংঘর্ষের মধ্যেও ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় একটি নাজুক যুদ্ধবিরতি পরিচালিত হচ্ছে। এই বিরতির উদ্দেশ্য হলো জীবিত এবং মৃত সকল ইসরাইলি জিম্মিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রেডক্রসের মাধ্যমে তিন মরদেহের কফিন গ্রহণ করা হয়েছে। এই মরদেহগুলো প্রতিরক্ষা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্রুতই এগুলো শনাক্তকরণ কেন্দ্রে পাঠানো হবে, যেখানে পরিবারের সদস্যরা মরদেহের পরিচয় জানার জন্য অপেক্ষা করবেন।’

একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞ দল মৃতদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং তাদের জানানো হবে কি ঘটেছে এবং এর ফলাফল কী।

হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, তারা দক্ষিণ গাজার এক সুড়ঙ্গ থেকে এই মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

যুদ্ধবিরতির সময় হামাস গাজায় ৪৮ জন জিম্মিকে আটক করে রেখেছিল, তাদের মধ্যে ২০ জনের জীবিত থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শুরু থেকেই, হামাস বেঁচে থাকা অপহৃতদের মুক্তি দিয়েছে এবং মৃত ২৮ জনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে।

এ পর্যন্ত হামাস ১৭টি মরদেহ ফেরত দিয়েছে, যার মধ্যে ১৫ জন ইসরাইলি নাগরিক এবং বাকি দুজনের একজন থাইল্যান্ডের এবং অন্যজন নেপালের নাগরিক।

ইসরাইলের অভিযোগ, হামাস মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে, কিন্তু হামাসের দাবী, গাজার ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে অনেক মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে, সেগুলো উদ্ধার করতে সময় লাগছে। তারা বারবার মধ্যস্থতাকারী ও রেড ক্রসের কাছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং কর্মী পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে যেন মৃতদেহগুলো দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হয়।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, এই হস্তান্তর প্রমাণ করে তারা চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব মৃতদেহগুলো ফেরত দিতে।

একটি ইসরাইলি সংগঠন, যা অপহৃত ও নিখোঁজ পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করে, সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেছে, যেন তারা দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং নিশ্চিত করে যে সব মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

অপহৃত ও নিখোঁজ পরিবারের ফোরাম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অপহৃত পরিবারের সদস্যরা চান প্রধানমন্ত্রী কঠোর পদক্ষেপ নেন এবং হামাসের চুক্তিটি দ্রুত বাস্তবায়ন করে সব মৃত অপহৃতকে ফিরিয়ে আনতে।’ সূত্র: বাসস

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos