নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি এনসিপির

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি এনসিপির

নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, তারা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সেটি রীতিমতো গভীর। প্রধান উপদেষ্টাকে জান they’ve যে, বর্তমান কমিশন নিরপেক্ষ নয়, এবং তার কাজের মধ্যে স্বচ্ছতা নেই। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনের উচিত ছিল যেন

নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, তারা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সেটি রীতিমতো গভীর। প্রধান উপদেষ্টাকে জান they’ve যে, বর্তমান কমিশন নিরপেক্ষ নয়, এবং তার কাজের মধ্যে স্বচ্ছতা নেই। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনের উচিত ছিল যেন সবাইকে সমানভাবে ন্যায্যতা দেওয়া, কিন্তু তারা তা করেনি। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দলের প্রতি কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব রয়েছে, আবার কিছু প্রতিষ্ঠান ও দল তাদের বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। এসব বিষয় তারা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলেছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংসদীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

এনসিপির নেতারা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে আসছেন, বিশেষ করে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ পায়নি বলায়। তারা অভিযোগ করেন, কমিশন প্রভাবিত হয়ে তাদের এই প্রতীক দিচ্ছে না। নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদ পুরোপুরি পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলেই মনে করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিও নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, কিছু দল যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে, তবে তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। তিনি আরও জানান, উপদেষ্টা পরিষদের নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরি, আর সেটার জন্য পুরোপুরি পরিবর্তনের দরকার রয়েছে বলে তিনি মনে করেন না।

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, তাঁরা এই সনদের বাস্তবায়নে বিশ্বাস করেন না যতক্ষণ না এই বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেন। সনদে বাস্তবায়নের জন্য তারা একটি সাংবিধানিক আদেশের ওপর নির্ভর করছেন, যা অজ্ঞতা ও নিশ্চয়তা ছাড়া কোনও ফলাফল দেখানো সম্ভব নয়। তিনি জানিয়েছেন, এই আদেশ আটকানো বা নিশ্চিত করার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমে একটি সংবিধানবিধান আস্থার বিবৃতি দেওয়া হবে। তিন দাবির মধ্যে প্রথম হলো, এই সনদের জন্য ড. ইউনূসের জারি করা আদেশই মান্য হবে, আর নোট অব ডিসেন্ট বা আপত্তির কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের মাধ্যমে বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা এই বিষয়ে ঐকমত্য বা সমঝোতার জন্য এনসিপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।

এনসিপি আরও জানিয়েছে, জুলাই গণহত্যার বিচার নিয়ে তারা ইতিমধ্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিচারের জন্য আদালত বসানো হয়েছে, যা তারা ভালভাবে নিচ্ছে। তবে, সারাদেশে ফ্যাসিবাদ ও অগণতন্ত্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া এই ক্ষেত্রে বড় चिंता প্রকাশ করেছেন তারা।

এছাড়াও, প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের আগে বিচারের রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এনসিপির নেতারা। বিকেলে অস্থায়ী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এই বৈঠকে অংশ নেন দলের চার নেতা, যাদের মধ্যে নাহিদ ইসলাম, উত্তরের সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos