বর্ষা ও মাহিরের পরিকল্পনায় জোবায়েদ হত্যার পূর্ণ বিবরণ

বর্ষা ও মাহিরের পরিকল্পনায় জোবায়েদ হত্যার পূর্ণ বিবরণ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল শাখা ছাত্র দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসাইনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্ত প্রেমিক বর্ষা ও তার প্রেমিক মাহির। মঙ্গলবার রাজধানীর বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানান। তিনি বলিতেন, প্রাথমিকভাবে হত্যার জন্য দায় স্বীকার করেছেন দুজনই। ওসি বলেন, ‘প্রায় ৯ বছর ধরে মাহির রহমানের সঙ্গে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল শাখা ছাত্র দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসাইনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্ত প্রেমিক বর্ষা ও তার প্রেমিক মাহির। মঙ্গলবার রাজধানীর বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানান। তিনি বলিতেন, প্রাথমিকভাবে হত্যার জন্য দায় স্বীকার করেছেন দুজনই।

ওসি বলেন, ‘প্রায় ৯ বছর ধরে মাহির রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই মেয়ের। সম্প্রতি, মেয়েটি জোবায়েদ হোসাইন নামে এক টিউশন শিক্ষককে আকৃষ্ট হন। বিষয়টি মাহিরের জানাজনাজে সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। পরে, মেয়েটি তার মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন এবং মাহিরের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন তাকে সরিয়ে দেওয়ার।’

তিনি আরও জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর দুজন মিলে হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন। সেদিনই দুটি সুইচগিয়ার কেনা হয়। তাদের পরিকল্পনা ছিল, দুই দিক থেকে আক্রমণ করে জোবায়েদকে হত্যা করা।

পরিকল্পনা অনুসারে, গত রোববার সন্ধ্যার আগে টিউশনের জন্য বের হওয়ার সময় আরমানিটোলার নূরবক্স রোডের রৌশান ভিলার নিচে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় মাহির রহমানের দ্বারা। ওই সময় তার সঙ্গে ছিল বন্ধু ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। পুরো ঘটনাটি সংগঠিত করেন সেই ছাত্রী।

ওসি রফিকুল বলেন, ‘প্রথমে মেয়েটি হত্যার কথা অস্বীকার করলেও মাহিরের মুখোমুখি করলে সত্য প্রকাশ পায়। তারা দুজনই স্বীকার করেছেন যে, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরিকল্পনা শুরু করে ১৯ অক্টোবর তা বাস্তবায়ন করেন।’

ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী জোবায়েদ বাসায় পড়াতে গিয়েছিলেন। বাসার গেট দিয়ে ঢোকার সময় সুইচগিয়ার দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পরে রাতে পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে হেফাজত নেয়। পরের দিন প্রধান অভিযুক্ত মাহির রহমান ও তার সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos