নিরাপদ পরিবেশে সুсіদ্ধ নির্বাচন নিশ্চিতের জন্য আলোচনা চলমান: ইসি সচিব

নিরাপদ পরিবেশে সুсіদ্ধ নির্বাচন নিশ্চিতের জন্য আলোচনা চলমান: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, দেশে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবেশকে আরও শক্তিশালী ও সম্মিলিত করতে কমিশন সচিবালয় সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় বসেছে। মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য করে তোলা। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, দেশে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবেশকে আরও শক্তিশালী ও সম্মিলিত করতে কমিশন সচিবালয় সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় বসেছে। মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য করে তোলা।

গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। তবে এটি আরও বিন্যস্ত ও সুসংহত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো আলোচনা চালিয়ে যাবে।

অভিবাস্তবায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সচিব জানান, প্রথমে পরিকল্পনা ছিল নির্বাচনি পাঁচ দিনের জন্য বাহিনী মোতায়েনের। কিন্তু পরে আলোচনায় প্রস্তাব এসেছে, নির্বাচনকালীন দিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং এর আগে ও পরে আরও নির্দিষ্ট সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে। এই সময়সূচী চূড়ান্ত করা হবে পরীক্ষার মাধ্যমে।

নির্বাচনকালীন নিরাপত্তার জন্য প্রায় দেড় লাখ পুলিশ, ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা সদস্য এবং সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ আনসার সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। তারা সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত বিষয়ে আখতার আহমেদ জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে অবৈধ অস্ত্রের ৮৫ শতাংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে এবং নির্বচনের সময় তা সম্পূর্ণভাবে সমাধান করা হবে।

নির্বাচনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে যেমন ভোটকেন্দ্র, ভোটের কর্মী, এলাকাভিত্তিক নিরাপত্তা, অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপব্যবহার রোধ, বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা, পোস্টাল ভোটিং, অনুপ্রবেশ ও কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনী কার্যক্রমের সমন্বয়, পাশাপাশি দুর্গম ও পার্বত্য অঞ্চলে নির্বাচন পরিচালনার জন্য হেলিকপ্টার ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা।

ড্রোন ব্যবহারের বিষয়েও কথা হয়েছে। নির্বাচন প্রচারণায় সাধারণত ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র সচিব নিশ্চিত করেছেন, ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ, বডি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সবাই সচেতনভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে যাতে নির্বাচন দিন সব ধরনের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

আখতার আহমেদ বলেন, এই আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনের সুন্দর ও স্বচ্ছ পরিবেশ নিশ্চিত করা। সহজেই অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য—একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সফল আয়োজন।

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার সচিব, নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য, সামরিক বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, বর্ডার গার্ড, কোস্ট গার্ডসহ প্রত্যেক সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধি অংশ নেন।

আখতার আহমেদ আরও বলেছেন, সংলাপে প্রমাণিত হয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনী নিরাপত্তা, তফসিল বাস্তবায়ন এবং ভোটগ্রহণের সকল ধাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। তারা নির্বাচনের আগে, চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি, প্রশাসনিক ও নির্বাচনী পর্যায়ে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা স্তরে কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে, যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন হয়।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos