আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে পরিসংখ্যান তৈরি জরুরি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে পরিসংখ্যান তৈরি জরুরি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বাসযোগ্য পরিসংখ্যান তৈরি করা এক ধরনের বিনিয়োগ। তাদের মতে, বিশ্বস্ত ও সঠিক তথ্য ব্যবস্থাপনাই দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি। এজন্য পরিসংখ্যান তৈরিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সম্পূর্ণ অনুসরণ ও যথাযথ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। তিনি emphasize করেন, তথ্যের সুরক্ষা ও নৈতিকতার বিষয়েও আন্তর্জাতিক দিক নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বাসযোগ্য পরিসংখ্যান তৈরি করা এক ধরনের বিনিয়োগ। তাদের মতে, বিশ্বস্ত ও সঠিক তথ্য ব্যবস্থাপনাই দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি। এজন্য পরিসংখ্যান তৈরিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সম্পূর্ণ অনুসরণ ও যথাযথ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। তিনি emphasize করেন, তথ্যের সুরক্ষা ও নৈতিকতার বিষয়েও আন্তর্জাতিক দিক নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কেন্দ্রের জাতীয় ও বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক স্পেশাল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা বিভাগ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) যৌথভাবে অংশ নেয় ইউএনডিপির সহযোগিতায়। এবারের আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সবার জন্য মানসম্মত পরিসংখ্যান’, যা মানসম্পন্ন ও নির্ভুল তথ্যের উৎপাদন ও প্রকাশের উপর জোর দেয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। দেশের পরিসংখ্যানের মানোন্নয়নে সচিব আলেয়া আক্তার ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দায়ারাত্নে উপস্থিত ছিলেন। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, ‘সরকারি পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও মান বজায় রাখা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। বর্তমানে বিবিএস আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করছে, তবে আরও স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’ উপদেষ্টা জানান, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বিবিএস এখন নিজস্ব উদ্যোগে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যবৃফেরি এবং অন্যান্য সূচক প্রকাশ করতে পারবে, যা দেশের অর্থনীতির透明তা বাড়াবে। তিনি আরও জানান, ডেটা শুধু সরকারের জন্য নয়, বরং বিনিয়োগকারী, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ জনগণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবাইকে ডেটা সচেতনতার জন্য ‘ডাটা ফর এভরিওয়ান’ শ্লোগানকে সামনে আনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি পরিসংখ্যান দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় বেশি নির্ভরযোগ্য। বিবিএস এখন প্রযুক্তিনির্ভর ও সক্ষম প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিচালক কবির উদ্দিন আহম্মদ। প্যানেল আলোচক হিসেবে থাকেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বিএসএর সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. জাফর হোসেন খান। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে প্রতি পাঁচ বছর পর পর বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচি ও আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় র‌্যালির আয়োজন করা হয়, যা পরিসংখ্যান ভবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার তা ফিরে আসে। এছাড়া, জাতীয় ও বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবসের তাৎক্ষণিক উদযাপন উপলক্ষে বিবিএস দেশে সেমিনার, ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ, আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে জাতীয় ও বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস এই বছর একত্রে উদযাপন করা হয়েছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos