জাতি আগামীতেও দেখবে ডাকসু-জাকসু-চাকসুর সুন্দর চিত্র: জামায়াত আমির

জাতি আগামীতেও দেখবে ডাকসু-জাকসু-চাকসুর সুন্দর চিত্র: জামায়াত আমির

আজকের যুব ও নারী সমাজ ইসলাকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা যোগে ধারণ করছে বলে 밝혔েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাবি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা দেখাচ্ছে। প্রতিটি জায়গায় একই চিত্র স্পষ্ট—মহিলা ও তরুণদের মধ্যে ছাত্রশিবিরের প্রতি আস্থা প্রবল। যার প্রদর্শনী আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে

আজকের যুব ও নারী সমাজ ইসলাকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা যোগে ধারণ করছে বলে 밝혔েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাবি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা দেখাচ্ছে। প্রতিটি জায়গায় একই চিত্র স্পষ্ট—মহিলা ও তরুণদের মধ্যে ছাত্রশিবিরের প্রতি আস্থা প্রবল। যার প্রদর্শনী আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে এবং এর প্রতিচ্ছবি দেশের ভবিষ্যতেও দৃশ্যমান হবে ইনশা আল্লাহ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ আসনের নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ইসলামের ইতিহাসে নারীদের অবদান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

জামায়াতের আমির প্রকাশ করেন, ‘আমরা অত্যন্ত গর্ব অনুভব করছি যে, আমাদের যুবসমাজ ও মায়েদের সমাজটি ইসলামকে খুবই গুণগান করে। বর্তমানে তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে সকলে দেখল যে মেয়েদের ও তরুণদের আস্থা মূলত ছাত্রশিবিরের ওপর। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের এই চিত্র অব্যাহত থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মানের বিষয়টি অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মূল শিক্ষা হলো, আমাদের মায়ের মর্যাদা রক্ষা ও যথাযথ সম্মান দেয়া। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রে মহিলাদের অবদানও অব্যাহত থাকবে, যা প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মে ও যোগ্যতায় পুরুষের সমান।’

শফিকুর রহমান উল্লেখ করেন, ‘ইমান ও ধর্মবিশ্বাসের ব্যাপারে আমাদের দায়িত্ব নয়, তবে আমরা দেশের নাগরিক সকলের অধিকার ও সম্মান রক্ষায় যথেষ্ট সচেতন। তারা যেকোন ধর্মের, দলের বা গায়ের রঙের নিকট থেকে আসুক, তারা আমাদের ভাই ও বোন—অতএব, তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে।’

তিনি আরও বলাকা, ‘বিশ্বের সাথে আমাদের সম্পর্ক, দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ করতে আমাদের অঙ্গীকার রয়েছে। দেশের অর্থনীতি এখন ভঙ্গাচোরা, কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের থেকে দেশের মালামাল উদ্ধার করে যোগ্য ও সৎ জনসমাজে উপযুক্ত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে—তা মুসলমান হোক বা অন্য ধর্মের, যারা এই দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘একটি সমাজ উন্নতি করবে তখনই, যখন শাসকেরা তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত থাকবেন। তারা বাহবা পাওয়ার জন্য নয়, বরং মানুষের সেবা ও মানুষের জন্য কাজ করবেন। সবাই বিশ্বাস করবে যে, তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে।’

তিনি ব্যাখ্যা করেন, যেসব সমাজ যুবরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে এবং নারীরা এগিয়ে আসে, সেই সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন তখনই আসে।

অন্ততঃ, প্রথমতঃ শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী ও সুবিন্যস্ত করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি, কারণ শিক্ষাই জাতির মূল স্তম্ভ।

দ্বিতীয়তঃ, সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিরাজিত দুর্নীতি রুখে দিতে প্রয়োজন প্রচণ্ড ত্যাগ স্বীকারের। দেশের উন্নয়ন ও স্বচ্ছতার জন্য সকল বাধা অতিক্রম করে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

তৃতীয়তঃ, প্রতিটি মানুষ যেন তার ন্যায্য অধিকার পায় এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে অবহেলিত দরিদ্র, নারী ও শিশুদের জন্য এই ব্যবস্থা নিশ্চিহ্ন করতে যত যোগ্যতা ও ত্যাগ প্রয়োজন, তা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos