বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ফের যুক্তি দিয়েছেন যে, জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে সম্পন্ন করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মত প্রকাশ করেন। রিজভী বলেন, যদি গণভোট পাল্লা দেওয়া হয়, তবে জাতীয় নির্বাচন আরও দেরিতে হবে এবং জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশের
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ফের যুক্তি দিয়েছেন যে, জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে সম্পন্ন করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মত প্রকাশ করেন। রিজভী বলেন, যদি গণভোট পাল্লা দেওয়া হয়, তবে জাতীয় নির্বাচন আরও দেরিতে হবে এবং জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশের পরিস্থিতির সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন, তারা যেন এমন কোনও পরিস্থিতির মুখে না পড়েন যাতে আমাদের পরবর্তী পথচলা বাধাগ্রস্ত হয়। অন্যথায়, কালো ঘোড়া প্রবেশের উপক্রম হতে পারে।
রিজভী উল্লেখ করেন, উন্নত দেশেরও দীর্ঘমেয়াদি গণতান্ত্রিক চর্চায় এখন পিআর (প্রতিনিধি ভোট) পদ্ধতির বিরুদ্ধে আলোচনা হচ্ছে। জাপানসহ অনেক দেশে ৩৭ শতাংশের বেশি পিআর পদ্ধতি চালু রয়েছে, যেখানে বিশ্বজুড়ে এই পদ্ধতির বলেন-আলোচনা চলছে। কিন্তু সেখানে এই পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করা হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেনো আমরা হঠাৎ করে এই পদ্ধতি চালু করতে চাই, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষেরই ভোটের পদ্ধতি সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা নেই এবং তারা বিভ্রান্তিতে আছেন।
রিজভী বলেন, বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের মতো ব্রিটেন, আমেরিকা বা অন্য অনেক দেশে সরাসরি নির্বাচন পদ্ধতি চালু থাকলেও, কেনো আমাদের পিআর পদ্ধতি উন্নত গণতন্ত্রের মডেল বলে ভাবা হচ্ছে? এটি অনেকের কাছে অবান্তর মনে হতে পারে। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর কিছু নেতা এ বিষয়টি প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছেন বা তাদের অন্য কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তিনি এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট করে বলেন, দেশের স্বার্থে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক মানদণ্ড বজায় রাখতে হলে সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।