বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভবিষ্যতের দেশের জন্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘‘দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে দেশের পরিস্থিতিকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেবেন না। যারা এই দাবি-দাওয়া করছে, তাদের উদ্দেশ্য ঠিক নয়। তারা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়। তবে দেশের মানুষ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভবিষ্যতের দেশের জন্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘‘দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে দেশের পরিস্থিতিকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেবেন না। যারা এই দাবি-দাওয়া করছে, তাদের উদ্দেশ্য ঠিক নয়। তারা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়। তবে দেশের মানুষ ভোট দিতে চায় এবং তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান।’’
গতকাল বুধবার ঠাকুরগাঁও-১ আসনের গড়েয়া ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ সব কথা বলেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘‘দেশের গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে এবং দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুত সেটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। বিভাজন সৃষ্টি বন্ধ করুন, নতুন দাবিতে সৃষ্ট বিভেদের অবসান করুন। ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত নির্ধারিত হওয়া উচিত।’’
তিনি বলেন, ‘‘পিআর বা ভোটের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, সেটি পরবর্তী সংসদে আলোচনা করা যাবে। কিন্তু এ জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা মানে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকারক। তাই দ্রুত নির্বাচন একমাত্র সমাধান।’’
মির্জা ফখরুল আরও উল্লেখ করেন, ‘‘আমরা কোনো হিংসার politics চাই না। শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রই বিএনপির লক্ষ্য। যদি ক্ষমতায় আসা হয়, তাহলে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করব। দেশের মানুষের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে গুরুত্ব দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব। দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘জনগণ যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, তিনি সংসদে গিয়ে তাদের জন্য কথা বলবেন, এটাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অংশ। এবারের নির্বাচন একটু আলাদা হয়ে থাকবে, যেখানে পার্লামেন্টের দুইটি কক্ষ থাকবে—উচ্চ ও নিম্নকক্ষ। নিম্নকক্ষে সাধারণ নির্বাচন হয়, যেখানে নির্বাচিত সদস্যরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবেন। উচ্চকক্ষে হবেন আলেম সমাজ, বিশেষজ্ঞ সমাজ এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতিনিধিরা। এতে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে, একসঙ্গে থাকলে দেশের অগ্রগতি হবে।’’
তিনি আরও জানান, ‘‘জুলাই মাসে সংশোধনী বা সংশোধনপত্রের জন্য সনদে স্বাক্ষর হবে। কঠোর শব্দ ব্যবহার না করলেও, জনগণের সার্বিক সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব বিষয়ের ওপর সম্মতি বা মতামত অনুযায়ী সনদ তৈরি হবে।’’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট আকর্ষণে নিজ জেলার নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন মির্জা ফখরুল। মঙ্গলবার থেকে তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন। এ সময় দলের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।