মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম বলেছেন, দেশের বৈষম্য ও অধিকার বঞ্চনার চাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেফ এক্সিট অত্যন্ত জরুরি। তিনি মন্তব্য করেন, আমরা এই দেশের জন্যই লড়াই করেছি এবং এখানেই থাকতে হবে। দেশের বৈষম্য ও অস্থিতিশীলতা দূর করতে হলে আমাদের কৌশল অবলম্বন করতে হবে, যেন কেউ দেশ ছেড়ে ঝুঁকিতে না পড়ে। তিনি
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম বলেছেন, দেশের বৈষম্য ও অধিকার বঞ্চনার চাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেফ এক্সিট অত্যন্ত জরুরি। তিনি মন্তব্য করেন, আমরা এই দেশের জন্যই লড়াই করেছি এবং এখানেই থাকতে হবে। দেশের বৈষম্য ও অস্থিতিশীলতা দূর করতে হলে আমাদের কৌশল অবলম্বন করতে হবে, যেন কেউ দেশ ছেড়ে ঝুঁকিতে না পড়ে। তিনি আরও বলেন, আমাদের লড়াই হবে এখানেই, দেশের মাটিতেই। রোববার দুপুরে বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফারুক-ই-আজম একথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বৈষম্য ও অধিকার বঞ্চনা বন্ধ করতে হলে সবার জন্য সমান ও নিরাপদ সুযোগ নিশ্চিত করার প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের শিশুদের টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা দিতে আজ (রোববার) থেকে এক মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সরকার ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোরকে বিনামূল্যে টিকা দেবে। জন্ম সনদহীন শিশুরাও এই টিকার আওতায় থাকবে।’
বরিশালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি জনগণকে রোগের প্রাথমিক রোধে সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বরিশাল জেলায় টিকাদানের মোট লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ ১ হাজার ১২৫ জন, বরিশাল মহানগরীতে ৯৭,৫৯০ জন। জেলার ৪,২৭৫টি কেন্দ্র থেকে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ইতোমধ্যেই ১ লাখ ৫২,৭১৫ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন, যার মধ্যে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত।
প্রথম ডোজে ৪ থেকে ৭ বছর বয়সিদের জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ হবে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, এবং ১ থেকে ১৩ নভেম্বর সরকারের বিভিন্ন স্বাসात्कार্য কেন্দ্র ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে। সরকারের লক্ষ্য, পথশিশুসহ কেউ যেন এই সুযোগ থেকে বাদ না পড়ে, সেটিই নিশ্চিত করা।