এই বছর রসায়নে অর্থাৎ কেমিস্ট্রিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তিন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী: জাপানের সুসুমু কিতাগাওয়া, যুক্তরাজ্যের রিচার্ড রবসন এবং মার্কিন নাগরিক ওমর এম. ইয়াহি, যিনি জর্ডান বংশোদ্ভূত। তাঁদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে ধাতব-জৈব কাঠামো (মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস) আবিষ্কারের জন্য। এই গবেষণার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক জগতে নতুন দিগন্তের দরজা খুলে গেছে। বুধবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ
এই বছর রসায়নে অর্থাৎ কেমিস্ট্রিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তিন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী: জাপানের সুসুমু কিতাগাওয়া, যুক্তরাজ্যের রিচার্ড রবসন এবং মার্কিন নাগরিক ওমর এম. ইয়াহি, যিনি জর্ডান বংশোদ্ভূত। তাঁদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে ধাতব-জৈব কাঠামো (মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস) আবিষ্কারের জন্য। এই গবেষণার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক জগতে নতুন দিগন্তের দরজা খুলে গেছে।
বুধবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস, স্টকহোম থেকে একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এএফপি সংস্থা জানায়, এই কাঠামোগুলো ব্যবহার করে মরুভূমির বাতাস থেকেও পানি সংগ্রহ করা যায়, কার্বন ডাই-অক্সাইড আটকানো সম্ভব হয়, বিষাক্ত গ্যাস সংরক্ষণ এবং রাসায়নিক বিক্রিয়া উন্নত করা যায়। এই প্রযুক্তি পরিবেশ ও শিল্পের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াহির নামকে নোবেলের জন্য শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে গণ্য করে আসছিলেন। পাশাপাশি সুসুমু কিতাগাওয়া ও রয়্যাল রিসার্চার ওমর ইয়াহির নামও বহুবার আলোচনায় উঠে এসেছিল।
নোবেল কমিটির কেমিস্ট্রি বিভাগের চেয়ারম্যান হেইনার লিংক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগে কল্পনাও করা যায়নি। এটি নতুন ধরনের উপাদান তৈরি ও কাস্টমাইজেশনের পথเปิด করে দিয়েছে, যা ভবিষ্যতের গবেষণা ও শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।’
গত বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড বেকার ও জন জাম্পার, এবং ব্রিটেনের ডেমিস হাসাবিস, যারা কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে জীবনের মূল উপাদান প্রোটিনের গঠন কোড উদ্ঘাটনে কাজ করেন।
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল জেতেন ব্রিটেনের জন ক্লার্ক, ফ্রান্সের মিশেল এইচ. দেভরেট ও মার্কিন নাগরিক জন এম. মার্টিনিস, যাদের গবেষণাও বৈজ্ঞানিক আলোচনায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। গত মঙ্গলবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র-জাপানের তিনজন বিজ্ঞানী: মার্কেরি ব্রাঙ্কো ও ফ্রেড রামসডেল ও শিমোন সাকাগুচি। তারা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণায় বিশেষ অবদান রেখেছেন।
আসন্ন সময়ের মধ্যে, বৃহস্পতিবার সাহিত্য এবং শুক্রবার শান্তি বিষয়ের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হবে। অর্থনীতির জন্য নোবেল দেওয়া হবে ১৩ অক্টোবর, যা ২০২৫ সালের নোবল মৌসুমের শেষ সূচক।
প্রতিটি নোবেল বিজয়ীর জন্য থাকছে একটি সনদপত্র, স্বর্ণপদক এবং ১২ লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যের চেক। একাধিক বিজয়ী থাকলে পুরস্কার অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়।
১২ ডিসেম্বর, আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিবসে স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানে, সুইডেনের রানী কার্ল ষোড়শ গুস্তাফের কাছ থেকে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার গ্রহণ করবেন। এই বছরের নোবেল বিজয়ীদের জন্য এই ছিল এক বিরাট সম্মানের মুহূর্ত।