উপদেষ্টাদের কোনো সেফ এক্সিট নেই: সারজিস আলম

উপদেষ্টাদের কোনো সেফ এক্সিট নেই: সারজিস আলম

নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত এনসিপির জেলা ও উপজেলা সম্মেলনের শেষে দলের মুখপাত্র সারজিস আলম সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। তিনি বললেন, কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখা যায়, তারা দায়িত্ব পালনকে খুইলে নির্বাচন কিংবা সরকারের দায়িত্বশীল দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চান। এই ধরনের দায়িত্বহীনতা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ দেশ ও দেশের মানুষ তাদের জন্য মুখ খুলতে পারে

নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত এনসিপির জেলা ও উপজেলা সম্মেলনের শেষে দলের মুখপাত্র সারজিস আলম সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। তিনি বললেন, কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখা যায়, তারা দায়িত্ব পালনকে খুইলে নির্বাচন কিংবা সরকারের দায়িত্বশীল দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চান। এই ধরনের দায়িত্বহীনতা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ দেশ ও দেশের মানুষ তাদের জন্য মুখ খুলতে পারে না। তিনি গুরুতর সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মৃত্যুই একমাত্র নিরাপদ পথ, অন্যকোনো সেফ এক্সিট নেই। বাংলাদেশের মানুষ যেখানেই যান না কেন, তাদের নজরদারীতে থাকবেন, বলেছি।

সারজিস আলম আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন একটি নামমাত্র দল—জাতীয় লীগ—কে নিবন্ধনের জন্য ধাক্কা দিচ্ছে। অথচ দলটির অস্তিত্ব বলতে একটি ছোট টয়লেটের পাশে থাকা ঘর ছাড়া কিছুই নেই। তিনি বলেন, কোনো দলকে নিবন্ধনের জন্য মানদণ্ড পরিবর্তন করে অনুমোদন দেওয়া উচিত নয়, সবকিছু সঠিক অনুসন্ধান ও যাচাইবাছাইয়ের মাধ্যমে করতে হবে। তিনি মনে করেন, এটি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য পরিকল্পিত प्रयास, যা জনগণ ও এনসিপি কখনো গ্রহণ করবে না।

সারজিস আলম জানান, যদি কি দেশের ভালো মানুষ একত্র হয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চান, তা সম্পূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্য। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, আওয়ামী লীগ বা তার যেকোনো সংস্করণ বাংলাদেশের অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ের জন্য উপযুক্ত নয়, এবং এনসিপি কখনোই তা মেনে নেবে না।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে এনসিপি শাপলা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে, বলেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন, শাপলা প্রতীকে দাঁড়ানোর আইনগত কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হয়েও বর্তমানে কিছু স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করছে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কমিশন স্বাভাবিক এবং স্বচ্ছভাবে কাজ করবে।

সারজিস আলম আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলা কথার প্রসঙ্গে—তিনি বলেন, যে ভাইকে দেশে রেখে গিয়েছিলেন, তাকে আর দেখা যাবে না, ঘরটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব ঘটনায় আমরা সহমর্মিতা রাখি, কিন্তু ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে আশা করি। তিনি উল্লেখ করেন, দলের অনেক নেতা-কর্মীর সঙ্গে এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তবে এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। তিনি সতর্ক করে দেন যেন স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগ বা তার দোসরদের অর্থের বিনিময়ে বা অন্য কোনো প্রলোভনে আশ্রয় দেওয়া না হয়।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন ও অন্যান্য জেলা ও উপজেলা নেতা–কর্মীরা।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos