অর্থনীতিতে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ পারস্পরিক পরিপূরক হতে পারে: গভর্নর

অর্থনীতিতে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ পারস্পরিক পরিপূরক হতে পারে: গভর্নর

সৌদি আরবের অর্থনীতি এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি সাধারণত পৃথকভাবে বিবেচনা হলেও, বাস্তবে এই দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও গভীরতা রয়েছে যা উভয় দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। মঙ্গলবার ঢাকা শহরে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত ‘সৌদি আরব-বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৫’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন। এই সমাবেশটি

সৌদি আরবের অর্থনীতি এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি সাধারণত পৃথকভাবে বিবেচনা হলেও, বাস্তবে এই দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও গভীরতা রয়েছে যা উভয় দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। মঙ্গলবার ঢাকা শহরে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত ‘সৌদি আরব-বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৫’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন। এই সমাবেশটি আয়োজন করে সৌদি আরব-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসএবিসিসিআই)।

ড. মনসুর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে সৌদি আরবের অর্থনীতি পরস্পরের জন্য সম্পূর্ণ পরিপূরক। এই সম্পর্কের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শ্রম, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে। তিনি বিশেষভাবে তুলে ধরেন যে, সৌদি আরবের পাব্লিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) এখনো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেনি, যার দরুণ শেষে উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা হারিয়ে যেতে পারে। তিনি বিনীতভাবে সৌদি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও বাংলাদেশের দিকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি দৃঢ় ও গতিশীল অর্থনীতি, যা বিভিন্ন বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও গত তিন দশক ধরে সক্রিয় প্রবৃদ্ধি বজায় রাখছে। এটি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক স্থিতিশীল ও উন্নয়নশীল।

অতিরিক্তভাবে, তিনি জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি সম্পদ ও মূলধনের প্রাচুর্য্য রয়েছে। অন্যদিকে, সৌদি আরবের মধ্যেও বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। ফলে, এই দুটি দেশের মধ্যে التعاون আরও দৃঢ় করা সম্ভব।

ড. মনসুর আশা প্রকাশ করেন যে, সৌদি আরব থেকে প্রবাসে থাকা বাংলাদেশের কর্মীদের রেমিট্যান্স প্রেরণ প্রক্রিয়া সহজ ও সাশ্রয়ী করার জন্য আর্থিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব বাড়ানো উচিত। এতে করে প্রবাসীরা সহজে এবং কম খরচে তাদের রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন।

তিনি বিশ্বাস করেন, এসএবিসিসিআই ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং বিনিয়োগের কার্যক্রম আরও জোরদার করবে। এই সংগঠন দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করবে এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচনে সহায়ক হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos