চট্টগ্রাম বন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কনটেইনার, কার্গো এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে বন্দরে মোট ৯ লাখ ২৭ হাজার ৭১৩ টিইইউস (২০ ফুটের সমতুল্য) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এক লাখ ১ হাজার ১৮৫ টিইইউস বেশি। এটি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সূচক। প্রবৃদ্ধির হার ১২.২৪ শতাংশ। এছাড়া,
চট্টগ্রাম বন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কনটেইনার, কার্গো এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে বন্দরে মোট ৯ লাখ ২৭ হাজার ৭১৩ টিইইউস (২০ ফুটের সমতুল্য) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এক লাখ ১ হাজার ১৮৫ টিইইউস বেশি। এটি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সূচক। প্রবৃদ্ধির হার ১২.২৪ শতাংশ। এছাড়া, গত তিন মাসে বন্দরে কার্গো রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৬ টন এবং আসা-যাওয়া জাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১টিতে। এই সময়ে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১৩.৮৮ শতাংশ এবং ৯.২২ শতাংশ। একই সময়ে, চট্টগ্রাম নৌবন্দর পরিচালিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেড (সিডিডিএল) তিন মাসে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৪৯ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ হাজার ৭৫৪ টিইইউস বেশি। এই হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধির হার ১৩.৮৮ শতাংশ। আরও জানা যায়, এই সময়ে এনসিটি ১৭৮টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করেছে, যা গত বছর থেকে ২৬টি বেশি। এর ফলে জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭.১১ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে, চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা前年ের একই সময়ের চেয়ে ১ লাখ ২১ হাজার ৬২৫ টিইইউস বেশি, অর্থাৎ ৪.৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১০ কোটি ২৭ লাখ ৪ হাজার ২৫৯ টন এবং জমা পড়েছে ৩ হাজার ১৬১টি জাহাজ। এই সব ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যথাক্রমে ১১.৭০ ও ১০.৩৭ শতাংশ। বন্দরের ব্যবহারকারীরা বলছেন যে, বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অন্যান্য বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা যেখানে অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলছে, সেখানে বাংলাদেশে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বন্দরের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। তারা জানান, বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সক্রিয় সহায়তায় কার্যক্রম ব্যাহত হয়নি, বরং কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং আরও বেড়েছে এবং রপ্তানি সম্পর্কিত আয় ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই বন্দরই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এবং অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। দেশের রাজস্বের বৃহৎ অংশ তে এই বন্দর থেকেই প্রবাহিত হয়। আধুনিকায়ন, কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্গো এবং কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের গড় সময় কমানো, জেটি ও ইয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নত করা এবং নিরাপদ, দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেই দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।