রামগমতিতে পুলিশ সোর্স পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

রামগমতিতে পুলিশ সোর্স পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় সাগর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে বেপরোয়া চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। সাগর চরগাজী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে এবং রামগতি বাজারে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রেতা। ভুক্তভোগী বড়খেরী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মোঃ মেহেরাজ জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে সাগর নিজেকে কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর, কখনো বা সেনাবাহিনীর সোর্স

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় সাগর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে বেপরোয়া চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। সাগর চরগাজী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে এবং রামগতি বাজারে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রেতা।

ভুক্তভোগী বড়খেরী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মোঃ মেহেরাজ জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে সাগর নিজেকে কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর, কখনো বা সেনাবাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা চাওয়া শুরু করে। তিনি নিজেও এর শিকার। সে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, হুমকি-ধমকি দিয়ে মানসিকভাবে আঘাত করে আসছে। তার এই ভয়ের কারণে রামগতি মাছঘাটের সাধারণ মাছ ব্যবসায়ীরা এবং রাজনৈতিক নেতারা এই এলাকায় আতঙ্কিত।

আরেক ভুক্তভোগী মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, সাগর দীর্ঘদিন ধরে তার দ্বারা অত্যাচারিত হচ্ছেন। কয়েক দিন আগে সে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় সাগর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে হেনস্তা করে। বিশেষ করে মাছঘাটের ব্যবসায়ীরা তার জুলুমের শিকার। সাগর নিজেকে সেনাবাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে থাকে। মূল উদ্দেশ্য হলো ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করা।

বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পর থেকে বড়খেরী ও চরগাজী ইউনিয়নের রামগতি বাজার, মাছঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ জেলে, মাছ ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম করে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাগর। তারা এই ভয় দেখানোর মাধ্যমে মানসিক চাপের মধ্যে থাকছে। এমতাবস্থায়, সাধারণ মানুষ এই ঘটনার সঠিক দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে সাগর বলেন, ‘আমি এই অভিযোগের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। যাঁরা এই অভিযোগ করেছেন, তারা কেন মিথ্যা বলছেন আমি জানি না। আমি পুরোপুরি এলাকায় থাকি না।’ তিনি এও জানান, সংবাদ প্রচার এড়াতে তিনি সংবাদ সংগ্রহের বিকল্প অনুরোধ করেন।

রামগতি সেনাক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কোনো সোর্স নেই। এসব বিষয় এক ধরনের প্রতারণা। ভুক্তভোগী যদি লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।’

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos