কলম্বো, ৩০ সেপ্টেম্বর — খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতি সর্বশেষ ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ করে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ১.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ১.২ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে এই হার ছিল
কলম্বো, ৩০ সেপ্টেম্বর — খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতি সর্বশেষ ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ করে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ১.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ১.২ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে এই হার ছিল মাত্র ০.৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে।তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে খাদ্যের দাম বেড়েছে ২.৯ শতাংশ, একদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম সামান্য ০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি গত বছরের জুলাইয়ের পর এবারই প্রথম এত উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, তখন এ হার ছিল ২.৪ শতাংশ।শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশঙ্কা করছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে এবং তা পাঁচ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।তিন বছর আগে, ২০২২ সালে, দেশটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল। তখন বিদেশি মুদ্রার তীব্র ঘাটতির কারণে জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধের মতো জরুরি আমদানি বন্ধ হয়ে যায় এবং মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড ৬৯.৮ শতাংশে পৌঁছায়। তবে ২০২৩ সালের শুরুতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা পেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক দাতাদের সঙ্গে পুনরাগঠনের চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকতে শুরু করে।আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলংকার অর্থনীতি এখন স্থিতিশীলতার পথে রয়েছ☆ তবে এই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এখনও বেশ দুর্বল, এবং তা বেশিরভাগটাই নির্ভর করছে বৈদেশিক আয়, রেমিট্যান্স, পর্যটন খাত ও ঋণ ব্যবস্থাপনার ওপর।