এক মাসের স্থগিতের পর, চট্টগ্রাম বন্দরে আবারও বিভিন্ন সেবা খাতে বর্ধিত ট্যারিফ (মাশুল) আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৪ অক্টোবর মধ্যরাত ১২টার পর থেকে নতুন হার অনুযায়ী এই চার্জ কার্যকর হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর এক কর্মশালায় বন্দরের ব্যবহারকারীরা এই বর্ধিত ট্যারিফ নিয়ে আপত্তি জানালে, নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা
এক মাসের স্থগিতের পর, চট্টগ্রাম বন্দরে আবারও বিভিন্ন সেবা খাতে বর্ধিত ট্যারিফ (মাশুল) আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৪ অক্টোবর মধ্যরাত ১২টার পর থেকে নতুন হার অনুযায়ী এই চার্জ কার্যকর হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর এক কর্মশালায় বন্দরের ব্যবহারকারীরা এই বর্ধিত ট্যারিফ নিয়ে আপত্তি জানালে, নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেনের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, এই নতুন মূল্যই এক মাসের জন্য স্থগিত থাকবে। কিন্তু গত ১৫ সেপ্টেম্বর এই বর্ধিত ট্যারিফের পরিপত্র জারি হয়, যা now কার্যকর হবে ১৫ অক্টোবর থেকে।
অর্থ ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের প্রধান মো. আবদুস শাকুরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৪ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা 모든 জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গো বিল নতুন রেট অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিসহ সব বন্দর ব্যবহারকারী বর্ধিত মাশুল দিতে বাধ্য থাকবেন। সব শিপিং এজেন্টকে নিজ নিজ ব্যাংকে নির্ধারিত হিসাব নম্বরে প্রয়োজনীয় অর্থ জমা দিয়ে নৌ-পরিবহন বিভাগের কাছ থেকে নির্ঝঞ্ছাটে ছাড়পত্র (এনওসি) নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উচ্চতরサービス খাতে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুলের বৃদ্ধি ঘোষণা করা হয়। তবে, ব্যবসায়ীর এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতিক্রিয়া সামাল দিতে, নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ২০ সেপ্টেম্বর এই সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত রাখেন।
বর্তমানে বন্দরে মোট ৫২টি খাতে মাশুল আদায় হয়, এর মধ্যে ২৩টি খাতে নতুন হারে ট্যারিফ চালু করা হয়েছে। নির্ধারিত গেজেট অনুযায়ী, ভাড়া, টোল, ফি ও মাশুল ডলার মূল্য ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, যেখানে প্রতি ডলার মান ধরা হয়েছে ১২২ টাকা। ডলারের হার বাড়লে, মাশুলও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেড়ে যাবে।
বিশেষ করে, কনটেইনার পরিবহন খাতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০ ফুটের কনটেইনারের জন্য মাশুল ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগে ছিল ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা, যেখানে প্রায় ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। আমদানি ও রপ্তানি কনটেইনারের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ফি দিতে হবে, যথাক্রমে ৫ হাজার ৭২০ টাকা ও ৩ হাজার ৪৫ টাকা, পাশাপাশি উঠানামার জন্যও প্রায় তিন হাজার টাকা বেশি দিতে হবে। ফলে, সামগ্রিকভাবে এই খাতের মাশুলের পরিমাণ ২৫ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।