বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বুধবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে ১২ দিনের যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই আন্দোলন মূল উদ্দেশ্য হলো জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। দলটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা দেশের গণমত গঠন করতে চান ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বুধবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে ১২ দিনের যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই আন্দোলন মূল উদ্দেশ্য হলো জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। দলটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা দেশের গণমত গঠন করতে চান ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবিতে মানুষকে সচেতন করবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় ১ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা, গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি, ১০ অক্টোবর রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১২ অক্টোবর সারাদেশের জেলা পর্যায় থেকে প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
জামায়াতের প্রধান ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: প্রথমত, নির্বাচন যেন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হয়। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। তৃতীয়ত, সবার জন্য সুষ্ঠু ও হুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। চতুর্থত, দেশের গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। এবং শেষত, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাবেদার ও বিরোধীদলের কিছু রাজনৈতিক দল—যেমন জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দল—কে বিচার করতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্য উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোমাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা প্রমুখ।