বিশ্বকাপের এই আসরে এখন যুক্ত হয়েছে অনেক নতুন দিক এবং রেকর্ড পরিমাণ পুরস্কার অর্থ। আর সবচেয়ে বড় খবর হলো, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল বা নিগার সুলতানার নেতৃত্বে থাকা মেয়েরা যদি কোনো ম্যাচ না জিতেও থাকেন, তবুও তারা পেতে পারেন ৩ কোটি ২ লাখ টাকা প্রাইজমানি। এটাই এবারের নারী বিশ্বকাপের বিশেষত্ব। বলা হচ্ছে, এই বিশ্বকাপ দিয়ে
বিশ্বকাপের এই আসরে এখন যুক্ত হয়েছে অনেক নতুন দিক এবং রেকর্ড পরিমাণ পুরস্কার অর্থ। আর সবচেয়ে বড় খবর হলো, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল বা নিগার সুলতানার নেতৃত্বে থাকা মেয়েরা যদি কোনো ম্যাচ না জিতেও থাকেন, তবুও তারা পেতে পারেন ৩ কোটি ২ লাখ টাকা প্রাইজমানি। এটাই এবারের নারী বিশ্বকাপের বিশেষত্ব।
বলা হচ্ছে, এই বিশ্বকাপ দিয়ে নারী ক্রিকেটে বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা হবে, যা এই খেলাটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আইসিসি ধারণা করছে, এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে নারীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও অজানা সম্ভাবনাগুলি আরও প্রসারিত হবে। কিছু বিশ্লেষকদের মতে, এই আসরে অস্ট্রেলিয়া দল হয়তো তাদের একচেটিয়া আধিপত্যও কমিয়ে আনতে পারেন, যা আগের সময়ের মতোই খুবই রোমাঞ্চকর এক পরিবর্তন।
অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল যদি প্রতিযোগিতায় শীর্ষে না থাকেও, তাহলে তারা মেয়েদের ফুটবলের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনের চেয়েও বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। স্পেনের মহিলা ফুটবল দল ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপে ৫১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা প্রাইজমানি পেয়েছিল।
আসরটি भारत ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপের এই ত্রয়োদশ সংস্করণে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডসহ স্বাগতিক দেশগুলো। বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত কলম্বোতে, যেখানে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এ আসরে বাংলাদেশ প্রথম পর্বে মোট সাতটি ম্যাচ খেলবে, যেখানে তারা এবার আগের চেয়ে আরও উন্নতির প্রত্যাশা করছে।
২০২২ সালে শেষবারের মতো এই আসরে অংশ নেয়া বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। এবার তারা আশা করছে, প্রথম ব্যবধানের পর এবার আরও বেশি ম্যাচ জিতবে। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জানিয়েছেন, প্রথম পর্বে একটি ম্যাচ জিতলেই তারা পাবেন ৪১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আর যদি কোনও ম্যাচ না জিতেও থাকেন, তাহলেও অংশগ্রহণের জন্য পাবেন ৩ কোটি ২ লাখ টাকা।
বিশ্বকাপের মোট প্রাইজমানি এই বার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা হলো ১৬৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা বিশ্বের বিভিন্ন বড় টুর্নামেন্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য প্রাইজমানি ছিল ৫১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
আগামী ২ নভেম্বর ফাইনাল খেলোয়াড়ের মধ্যে জেতা দল পাবেন ৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপের চেয়ে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা বেশি। এই বিশাল পুরস্কার অর্থটাই বোঝায়, নারীদের খেলাধুলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থের বিনিময়ে পাওয়া সম্মান ও স্বীকৃতি।