রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্তপ্রায় এক বিশাল ঢাই মাছ। সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের এই মাছটি मंगलवार (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে দৌলতদিয়া মৎস্য আড়ত থেকে উন্মুক্ত নিলামে ওঠে। পরে নদীর মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা এই মাছটি কিনে নেন। এ সময় মাছটির প্রতি উৎসুক শত শত জনতা জমায়েত হন। তিনি জানান,
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্তপ্রায় এক বিশাল ঢাই মাছ। সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের এই মাছটি मंगलवार (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে দৌলতদিয়া মৎস্য আড়ত থেকে উন্মুক্ত নিলামে ওঠে। পরে নদীর মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা এই মাছটি কিনে নেন। এ সময় মাছটির প্রতি উৎসুক শত শত জনতা জমায়েত হন।
তিনি জানান, সাধারণত রাতের আঁধারে জাফরগঞ্জরের জেলে সুনাই হালদার তার ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও সহযোগীদের নিয়ে পদ্মা নদীর উজানে মাছ ধরার জন্য যান। ভোররাতে জাল তুলতে গিয়ে তারা বড় একটি ঢাই মাছটি ধরা পড়েন। এরপর এই সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের মাছটি সকালেই দৌলতদিয়া আড়ত থেকে নিলামে উঠানো হয়। চান্দু মোল্লা এই মাছটি প্রতি কেজি ৪,১০০ টাকা দরে কিনে নেন এবং ফেরিঘাটে তাদের আড়তঘরে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, “আমি এই মাছটি মোট ৫৯,৪৫০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এখন আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে এই মাছ বিক্রির পরিকল্পনা করছি। আজ এই মাছ কিনে আমি অনেক খুশি, কারণ এক কেজি মাছ বিক্রি করে আমি প্রায় ১০০ টাকা লাভ করব।”
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, পদ্মার এই ধরনের বড় মাছ সাধারণত নিলামে উঠলে ক্রেতা ও দর্শকদের ব্যাপক ভিড় হয়। দাম যতই বেশি হোক না কেন, সবাই এই মাছটি কেনার চেষ্টা করে থাকেন, কারণ ঢাই মাছ খুবই সুস্বাদু।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, “ঢাই মাছ এখন খুবই কম দেখা যায় এবং বিলুপ্তির পথে রয়েছে। এই মাছগুলো খুবই সুস্বাদু এবং আকারে বড়। এ ধরনের মাছের দামও তুলনামূলক বেশি। বড় বড় ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা এই মাছের বেশ চাহিদা রাখে।”