শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতবর্ষে এবার ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই খুশির ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম ১২ দিনে (১৬ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর) এই রপ্তানি শুরু হয়, যার মধ্যে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ইতোমধ্যে ৯৯ টন এবং আখাউড়া বন্দর দিয়ে আরো ৩৭ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। এটাই বোঝায় সামনে আরও বেশিরভাগ
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতবর্ষে এবার ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই খুশির ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম ১২ দিনে (১৬ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর) এই রপ্তানি শুরু হয়, যার মধ্যে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ইতোমধ্যে ৯৯ টন এবং আখাউড়া বন্দর দিয়ে আরো ৩৭ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। এটাই বোঝায় সামনে আরও বেশিরভাগ ইলিশ ভারতীয় বাজারে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রপ্তানি সময়ের শেষ তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ৫ অক্টোবর। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে এই পুরো চালান রপ্তানি সম্ভব কিনা, তা নিয়ে অনেক ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, এবারের ইলিশের দাম আগের তুলনায় বেশি থাকায় রপ্তানির পরিমাণও কম হতে পারে। প্রতি কেজি ইলিশের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫২৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে পুরো চালান রপ্তানি করা খুবই চ্যালেঞ্জ। গত বছর ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু শেষমেশ মাত্র ৬৩৬ টন রপ্তানি সম্ভব হয়েছিল বেনাপোল ও আখাউড়া বন্দর দিয়ে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইলিশ উৎপাদন দেশের চাহিদার তুলনায় কম থাকলেও, ধর্মীয় ও ব্যবসায়িক কারণে ২০১৯ সাল থেকে সরকার দুর্গাপূজার সময় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে আসছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করার সাথে সাথে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুস্থভাবে ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।