জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ইউরোপের ক্ষুদ্র দেশ সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত শনিবার সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেকারি এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “গত ১৫ মে আমাদের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতভাবে নির্দেশ দিয়েছে চলতি বছরেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে। আজ, এই হলরুমে আমি সেই আদেশের বাস্তবায়নের ঘোষণা দিচ্ছি: সান মারিনো
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ইউরোপের ক্ষুদ্র দেশ সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত শনিবার সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেকারি এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “গত ১৫ মে আমাদের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতভাবে নির্দেশ দিয়েছে চলতি বছরেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে। আজ, এই হলরুমে আমি সেই আদেশের বাস্তবায়নের ঘোষণা দিচ্ছি: সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়।” এই ঘোষণা শুনে জাতিসংঘের হলরুমে উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে, কারণ ক্রমবর্ধমান সংখ্যক দেশের পাশাপাশি এবার সান মারিনোও ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ালো। লুকা বেকারি আরও বলেন, “একটি রাষ্ট্র হওয়ার অধিকার সকল ফিলিস্তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার। এটা কোনও হুমকি বা পুরস্কার নয়, বরং মানবাধিকার রক্ষার অবিচল দাবি।” তিনি গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সেটিকে ‘অসহনীয়’ ও ‘আমাদের সময়ের সবচেয়ে বেদনাদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী ট্র্যাজেডি’ বলে বর্ণনা করেন। বেকারি আরও দাবি করেন, গাজায় তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুব্যবস্থা এবং পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি বন্ধের প্রয়োজন। তিনি বলেন, নির্বিচারে বোমাবর্ষণ, অনাহার এবং বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে চলমান শাস্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই অন্ধকার সময়ে সার্বজনীন সহযোগিতা ও দৃঢ়তার মাধ্যমে একের অধিকারের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় মর্যাদা ও নিরাপত্তার পাশাপাশি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও হারিয়ে যাবে। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব এখনই আরও বেশি জরুরি।”}]}