খাগড়াছড়ি পার্বত্য এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অশান্তির কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ। শত শত মানুষ একদিকে শান্তিপূর্ণ protest করছে, অন্যদিকে সংঘর্ষ ও দাঙ্গার ঘটনা ঘটছে। ঘটনাটা মূলত খাগড়াছড়ির গুইমারায় এলাকার এক কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের প্রতিবাদে শুরু হয়। গত মঙ্গলবার রাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, এর পরে স্থানীয়
খাগড়াছড়ি পার্বত্য এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অশান্তির কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ। শত শত মানুষ একদিকে শান্তিপূর্ণ protest করছে, অন্যদিকে সংঘর্ষ ও দাঙ্গার ঘটনা ঘটছে। ঘটনাটা মূলত খাগড়াছড়ির গুইমারায় এলাকার এক কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের প্রতিবাদে শুরু হয়। গত মঙ্গলবার রাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, এর পরে স্থানীয় স্বজনেরা ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে ও আদালত তাকে ছয় দিন রিমান্ডে নিয়েছে।
প্রতিবাদে অংশ নেয়া ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’ নামের সংগঠন শনিবার ভোরে অবরোধ শুরু করে। এরফলে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালানো ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ চালানো হয়, যা স্থানীয় বিভিন্ন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
এদিকে, এই আন্দোলনের জেরে গুইমারায় গুলির ঘটনায় তিনজন নিহত হন। এদের মধ্যে বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ ও গণমাধ্যম নিশ্চিত করে জানায়, সেনা ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে গুলিবর্ষণের ফলে নিহত হয়ে থাকতে পারে। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন, আছেন সেনা ও পুলিশ সদস্যও। খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন জানান, নিহতদের লাশ খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
বুধবারের এই সংঘর্ষের পাশাপাশি গুইমারায় বাজারে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে, যেখানে বেশ কিছু দোকান পুড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই আগুনের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলেন, তখনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালায়। ফলে আতঙ্কে মানুষ পালিয়ে যায় এবং কিছু দুর্বৃত্ত সেখানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
এখন গুইমারা ও এর আশপাশের এলাকা সেনা ও পুলিশ ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি এখনো সিধান্তহীন ও অস্থির। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, এলাকার সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
প্রশাসন ও নাগরিক সমাজের প্রতিউত্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা সবাইকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করার জন্য কিছুদৃশ্য গোষ্ঠী চেষ্টা করছে, যার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার দরকার।
সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সব পক্ষের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। স্পষ্টতই এই পরিস্থিতি আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।