সিইসির মন্তব্য: নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক অগ্রগামী

সিইসির মন্তব্য: নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক অগ্রগামী

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন আশ্বস্ত করেছেন যে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটির প্রস্তুতি ব্যাপক এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা দেশের নির্বাচন পরিচালনা ও প্রস্তুতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভোটার তালিকা প্রণয়ন, যা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নারী ভোটার খাতায় অর্থাৎ ভোটার ব্যবধান কমানোর জন্যও কার্যক্রম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন আশ্বস্ত করেছেন যে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটির প্রস্তুতি ব্যাপক এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা দেশের নির্বাচন পরিচালনা ও প্রস্তুতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভোটার তালিকা প্রণয়ন, যা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নারী ভোটার খাতায় অর্থাৎ ভোটার ব্যবধান কমানোর জন্যও কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

সিইসি জানান, কার্যকর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নয়টি আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীতো অনুযায়ী আরও কিছু প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার কমিশনের আলোচনা অনেক কিছু পরিবর্তন ও উন্নতির পথে এগিয়েছে। তবে এখনও কিছু গ্যাপ বা বাকি রয়েছে, যা আজকের আলোচনা ও সমন্বয়ে পূরণ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি তিনি জানান, আইটি সাপোর্ট ও পোস্টাল ব্যালটের বিষয়েও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভোটে প্রায় ১০ লাখ মানুষ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকলেও অনেক মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত থাকেন, যেমন যাদের জেলে বা হাজতখানায় রাখা হয়েছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এবার সবাইকে ভোটাধিকার দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিইসি এই নির্বাচনের মূল লক্ষ্য হলো একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলমান রয়েছে। এ সংলাপে চারজন নির্বাচন কমিশন ও ইসির সিনিয়র সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া, নির্বাচনে অংশ নেওয়া সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে আছেন— সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ এর পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, ছাত্র প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও টিআইবি’র পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান।

বৈঠক শেষে অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারী নেতা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন— তাদের সঙ্গে আরো আলোচনা ও সচেতনতামূলক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos