বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার আশা ভঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে

বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার আশা ভঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুদিন ধরেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার একজন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু নোবেল বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর তার সেই প্রত্যাশা পূরণ হওয়াও সম্ভব নয়। তারা মনে করেন, ট্রাম্পের কার্যকলাপ এবং নীতিগুলো আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য ক্ষতিকর, যেখানে তিনি বরং বিভিন্ন অশান্তির সৃষ্টি করছেন। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এমন অবস্থান মূল কারণ। ইতিহাসবিদরা বলেন, ট্রাম্পের এই

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুদিন ধরেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার একজন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু নোবেল বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর তার সেই প্রত্যাশা পূরণ হওয়াও সম্ভব নয়। তারা মনে করেন, ট্রাম্পের কার্যকলাপ এবং নীতিগুলো আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য ক্ষতিকর, যেখানে তিনি বরং বিভিন্ন অশান্তির সৃষ্টি করছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এমন অবস্থান মূল কারণ। ইতিহাসবিদরা বলেন, ট্রাম্পের এই পুরস্কার পাওয়ার খুব কম সম্ভাবনা আছে। গাজা অঞ্চলে যুদ্ধের সময় তাঁর ইসরায়েলপ্রীতি এবং রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা – এই দুটি কারণই তাকে প্রাধান্য দিতে অপছন্দ করে নোবেল কমিটি।

রয়টার্সের এক সাক্ষাৎকারে নোবেল কমিটির একজন সদস্য জানান, তারা পুরস্কার নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে চাপমুক্ত রাখতে চান। বাইরের লবিং বা প্রার্থীর পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া—এমন পরিস্থিতি থাকলে বিচারে প্রভাব পড়তে পারে, যা তারা চায় না।

এছাড়াও, পিচ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আসলো-এর পরিচালক নিনা গ্র্যাগার বলেছেন, ট্রাম্পের নানা পদক্ষেপ শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে নয়। তিনি উল্লেখ করেন, ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি প্যারিস থেকে বেরিয়ে গেছেন, এ ছাড়া বন্ধু ও মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন। এসব কর্মকাণ্ড শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অনুকূল নয়।

তিনি আরও বলেন, একজন শান্তিপ্রিয় নেতার থেকে যা প্রত্যাশা করা যায়, ট্রাম্প তার উল্টো কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে, শান্তি পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনসিএইচআর), বিশ্ব শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ, রেড ক্রস, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস এবং সুদান সরকারের জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তাদানকারী ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুম’ নামে একটি স্থানীয় গ্রাসরুট সংগঠন।

বিশেষজ্ঞের মতে, এই ধরনের সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বর্তমানে কঠিন পরিবেশে চলেছে, কারণ ট্রাম্প প্রশাসনের বাজেট কাটা বা তহবিল কমানোর কারণে তাদের কাজ আরও বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ফলে, নোবেল কমিটির জন্য এই সংস্থাগুলোর ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

আলফ্রেড নোবেল এর ইচ্ছা অনুযায়ী, এই পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে বা সংগঠনের প্রদান করা হয়, যারা জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের নীতিগত অবস্থান এবং তার আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভূমিকা তাকে এই মানদণ্ডের কাছ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos