রূপগঞ্জে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে; নকশা ছাড়াই অবৈধ ভবন নির্মাণ অব্যাহত

রূপগঞ্জে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে; নকশা ছাড়াই অবৈধ ভবন নির্মাণ অব্যাহত

রূপগঞ্জে প্রায় ২০ হাজার ভবন রয়েছে, এর মধ্যে অনেক পুরোনো ও নতুন উভয় ধরনের ভবনই সঠিক নকশা মানা না হওয়ায় ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই এলাকার মাটি নরম ও দুর্বল, যেখানে নির্মাণের মানদণ্ড না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ হলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে ভবনগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও

রূপগঞ্জে প্রায় ২০ হাজার ভবন রয়েছে, এর মধ্যে অনেক পুরোনো ও নতুন উভয় ধরনের ভবনই সঠিক নকশা মানা না হওয়ায় ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই এলাকার মাটি নরম ও দুর্বল, যেখানে নির্মাণের মানদণ্ড না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ হলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে ভবনগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রদর্শক জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, অবৈধ ও অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের কারণে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে যেতে পারে।

২০২৩ সালে রূপগঞ্জে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। ২৫ এপ্রিলের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল এই এলাকার তারাব বোর্ডার। এর রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪। এর আগে ১৭ এপ্রিল ডহরগাঁও এলাকায় একটি ভূমিকম্প ঘটে, যার মাত্রা ছিল ৪.৩। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, রূপগঞ্জে প্রায় ৪ হাজার বহুতল ভবন রয়েছে। যদি কখনো এই এলাকায় মাত্র ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আসে, তাহলে এই ভবনগুলো ও বাসিন্দাদের বড় ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো, ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৬টি ভবনের নকশা অনুমোদন পেয়েছে। বাকিগুলোর অধিকাংশই অবৈধ ও অনুমোদনবিহীন। রাজউকের সূত্রে জানা গেছে, জোরপূর্বক ক্রমবর্ধমান নির্মাণের কারণে নানা ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নকশা ছাড়া নির্মাণ, নকশার ব্যত্যয়, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা অনুপস্থিতি, ও জরুরি সিঁড়ির অভাব।

২১ এপ্রিল রাজউকের নেতৃত্বে একটি অভিযান চালানো হয় অবৈধ নির্মাণাবস্থানের বিরুদ্ধে, যেখানে রূপসী এলাকার তিন ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া ও দুইটির জন্য জরিমানা করা হয়। একইভাবে ২৩ এপ্রিল গোলাকান্দাইল এবং ২০ আগস্ট পূর্বাচল এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়। এ ধরনের কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে।

তারাব পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ নিগার সুলতানা বলেছেন, আমাদের ক্ষমতা সীমিত, মোবাইল টার দিকে নজর দেওয়া হয় না, ফলে অনেক অবৈধ ভবনই চোখে পড়ে না। তবে ভবিষ্যতে বড় ভূমিকম্প হলে এই এলাকা মারাত্মক ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে।

উপজেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেছেন, আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণের অভাব থাকলেও দুর্যোগ প্রশমন দিবসে নানা মহড়া সেটার জন্য সহায়ক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে রাজউক নিবিড় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভবন সরানোর কাজ শুরু করেছে।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, ভবন নির্মাণে নকশা ও অনুমোদন না থাকা, রাস্তার জায়গায় ভবন নির্মাণ এবং ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান থাকবে, যাতে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা যায়।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos