নওগাঁর মোমনিপুরে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচের হাটে দাম কমে অনিশ্চয়তা

নওগাঁর মোমনিপুরে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচের হাটে দাম কমে অনিশ্চয়তা

নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের মোমিনপুর বাজারে দেশের বৃহত্তম পাইকারি কাঁচা মরিচের হাট বসছে সপ্তাহের প্রতিদিন। এই হাটে প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচ কেনা-বেচা হয়। এখানে বিক্রির জন্য আসা কৃষকরা বলছেন, এই বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলন খুবই ভালো হয়েছে, কিন্তু হঠাৎ করে মূল্য পড়ে যাওয়ায় তারা খুবই হতাশ। প্রথমে কেজি প্রতি মরিচের

নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের মোমিনপুর বাজারে দেশের বৃহত্তম পাইকারি কাঁচা মরিচের হাট বসছে সপ্তাহের প্রতিদিন। এই হাটে প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচ কেনা-বেচা হয়। এখানে বিক্রির জন্য আসা কৃষকরা বলছেন, এই বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলন খুবই ভালো হয়েছে, কিন্তু হঠাৎ করে মূল্য পড়ে যাওয়ায় তারা খুবই হতাশ। প্রথমে কেজি প্রতি মরিচের দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, যা এখন কমে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। এতে তাদের ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ভারতের থেকেও কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ায় এই মূল্যবৃদ্ধির পরিবর্তন এসেছে।

মোমনিপুর হাটের দৃশ্য গত শুক্রবার ধারণ করা। এই হাটটি বছরে ৬ থেকে ৭ মাস চালু থাকে এবং এখানকার মরিচ বিভিন্ন দেশের বাজারে সরবরাহ করা হয়। ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুরসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও এই মরিচ পৌঁছে দেওয়া হয়।

মহাদেবপুরের কুঞ্জবন এলাকার কৃষক সোলেমান আলী এবং গুলবর রহমান বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় তাদের জন্য ক্ষতির আশংকা বেড়ে গেছে। চাষের জন্য খরচের চেয়ে এখন বিক্রির মূল্য কম থাকায় তারা নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে। তারা বলছেন, প্রথমে কেজি প্রতি মরিচ বিক্রি হয়েছিল ১৩০-১৫০ টাকায়, এখন তা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপর দিকে, বগুড়ার ব্যবসায়ী সুজন মিয়া জানাচ্ছেন, এই হাটের মরিচ বিভিন্ন শহর ও জেলায় যায়। তবে এখন বেশিরভাগ মরিচ ভারত থেকে আমদানি হবার কারণে বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে।

মোমনিপুর হাটের কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, এটি নওগাঁর সবচেয়ে বড় কাঁচা মরিচের বাজার, যা বছরে বেশিরভাগ সময় চলে। সেখানে প্রতিমাসে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার মরিচ কেনা-বিক্রি হয়। কিন্তু বর্তমানে দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের লোকসানের মুখোমুখি হতে পারেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় কাঁচা মরিচের ফলন প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। তবে দাম পড়ে যাওয়ায় প্রথমে মনে হয়েছিল কৃষকরা বেশ লাভবান হবেন, কিন্তু এখন দাম কমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত লাভ হতে পারছে না। তিনি আশ্বস্ত করেন, কৃষকদের জন্য আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছি এবং পরামর্শ অব্যাহত রেখেছি। বর্তমানে নওগাঁ জেলায় প্রায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos