পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফআইডিসি) দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও উল্লেখযোগ্য রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করতে সক্ষম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গ্রিনরোডের পানি ভবনে জাতিসংঘের ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইউএনসিডিএফ)-এর এশিয়া প্যাসিফিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন ডিভিশনের রিজিওনাল ইনভেস্টমেন্ট টিম লিড মারিয়া পেরডোমো’র সঙ্গে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফআইডিসি) দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও উল্লেখযোগ্য রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করতে সক্ষম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গ্রিনরোডের পানি ভবনে জাতিসংঘের ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইউএনসিডিএফ)-এর এশিয়া প্যাসিফিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন ডিভিশনের রিজিওনাল ইনভেস্টমেন্ট টিম লিড মারিয়া পেরডোমো’র সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক চলাকালে তিনি বলেন, বর্তমানে পুরনো যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির কারণে আধুনিক আসবাবপত্র শিল্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন, নকশা উদ্ভাবন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং যৌথ বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত আইন প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বিএফআইডিসিকে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কৌশলগত অংশীদারিত্ব, সময়োপযোগী সম্পদ সংগ্রহ এবং সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা অপরিহার্য। পাশাপাশি, রাবার চাষের পাশাপাশি বাঁশ ও বেতের মতো বিকল্প উপকরণে বৈচিত্র্য আনলে বনজ সম্পদের ওপর চাপ কমবে। তিনি উল্লেখ করেন, সরকার বিএফআইডিসির আধুনিকায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এটি জাতীয় উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যেও কাজ করবে।
মারিয়া পেরডোমো আরও ব্যাংকিং, কারিগরি ও সক্ষমতা উন্নয়নে ইউএনসিডিএফ-এর সহায়তার আশ্বাস দেন, বলেছেন, এ প্রক্রিয়ায় ইউএনডিপি ও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী যুক্ত থাকতে পারেন।
বৈঠকে বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ মন্ত্রণালের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল হাসান, ইউএনসিডিএফ ও বিএফআইডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার অংশ হিসেবে প্রকল্পের নথি ও সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা, সম্পদ সংগ্রহ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সম্পৃক্ততা যোগ্যতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।