মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের চন্দনপুর সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার বা মাটি ভরাট না করায় বর্ষাকালে প্রায় ছয় মাসই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতির কারণে কোলে থাকা শিশু কিশোররা খেলাধুলা ও বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং তাদের জীবনেও সৃষ্টি হচ্ছে কষ্ট। সাময়িক দর্শন করা গেলে দেখা যায়, জামির্ত্তা ইউনিয়নের ৪৫ নম্বর
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের চন্দনপুর সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার বা মাটি ভরাট না করায় বর্ষাকালে প্রায় ছয় মাসই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতির কারণে কোলে থাকা শিশু কিশোররা খেলাধুলা ও বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং তাদের জীবনেও সৃষ্টি হচ্ছে কষ্ট।
সাময়িক দর্শন করা গেলে দেখা যায়, জামির্ত্তা ইউনিয়নের ৪৫ নম্বর চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একটি ডোবা বা পুকুরে পরিণত হয়েছে। এই স্কুলটি ১৯২২ সালে ৬১ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। স্কুলের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্কুলের জমির বিশদ তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা যায়, স্কুল সংলগ্ন পশ্চিম দিকে থেকে পূর্ব দিকে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত মোট ৩৬ শতাংশ জমি রয়েছে, বাকি ২৫ শতাংশ জমি বিভিন্ন খণ্ডখণ্ড আকারে বিভক্ত। স্কুলের সামনে- পেছনে বাড়ি এবং ক্লিনিক থাকায়, জমির নিচু অংশে সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছে।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মেহেরুন জানায়, স্ফুট বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে মাঠে পানি জমে থাকে। এতে মাঠের ঘাস ও আগাছা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায়, চারপাশে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে মশা জন্ম নিচ্ছে, ফলে ডেঙ্গু যেমন বেড়ে উঠছে, তেমনি শিশুরা ডেঙ্গুসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় দেখা দিয়েছে। ফলে দ্রুত এই মাঠের মাটি ভরাট ও সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে রত।
স্থানীয় ব্যাংকার আব্দুস সালাম বলেন, এই সমস্যা অনেক দিনের। তিনি প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার বলেন, কতই না দুর্ভোগের কথা বলছি। সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও করে দিলেও, কোনো ক্ষতি হয়নি। এরপরও মাঠের জলাবদ্ধতা এখনও কাটেনি।
অপরদিকে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহাগ জানান, এই বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। তবে, যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ আবেদন জানায়, তবে সরকারি বরাদ্দে দ্রুত মাঠ ভরাটের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।